ক্রুস




যখনই রিয়ালের ইতিহাসের সেরাদের নিয়ে আলোচনা হয়, তখন টনি ক্রুসের কথা অবশ্যই উঠবে। এ বয়সেও মাঝ মাঠে তার দাপট বেশ চোখে পড়ার মতো৷ সেই শুরু থেকেই নিজের ক্লাব এবং জাতীয় দলে ক্রুস তার দক্ষতা অব্যাহত রেখেছেন।

ক্রুসের ক্যারিয়ার জার্মান ক্লাব হ্যানোভার ৯৬-এ শুরু হয়৷ তিনি ২০০৭ সালে তার বয়স মাত্র ১৭ বছর এমনকি সেসময় স্কুলে পড়ছিলেন৷ কিন্তু বয়স সত্ত্বেও তিনি তার নির্ভুল পাস, ডেড বল এবং গোল করার দক্ষতা দিয়ে ম্যানেজারকে মুগ্ধ করেছিলেন৷

২০০৯ সালে তিনি বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেন এবং সেখানেই তার স্বর্ণযুগ শুরু হয়৷ এফসি বায়ার্ন মিউনিখে ক্রুসের সাফল্য সত্যিই চোখে পড়ার মতো। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সেখানে খেলে ৫টি বুন্দেসলিগা শিরোপা, ৩টি জার্মান কাপ এবং ২০১৩ সালে একটি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শিরোপা জয় করেন৷

ক্রুসের ক্যারিয়ারের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় শুরু হয় ২০১৪ সালে যখন তিনি রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন৷ এখানেই তিনি সর্বাধিক সফলতা অর্জন করেন৷ নেডরেড, জিদান, ব্যালন এবং কাসেমিরোর মতো রিয়ালের সেরা সেরা মিডফিল্ডারের পাশাপাশি নিজের নাম লেখান৷

ক্রুসের রিয়েল মাদ্রিদে সময়কে তার ক্লাবের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল সময় বলা যেতে পারে৷ তিনি রিয়েলে ৫টি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শিরোপা, ৩টি লা লিগা শিরোপা এবং ৪টি বিশ্বকাপ সহ মোট ২৩টি ট্রফি জয় করেন৷

জার্মান জাতীয় দলের হয়েও ক্রুসের সাফল্য এবং অবদান অসাধারণ৷ তিনি ২০১০ সালে একটি বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করেন এবং ২০১২ সালে একটি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সোনা জয় করেন৷

নিজের দক্ষতা, কার্যকরীতা এবং নেতৃত্ব দক্ষতার কারণে ক্রুস সমর্থক, বিশেষজ্ঞ এবং সতীর্থ সবাই দ্বারা সম্মানিত৷ তিনি বর্তমান যুগের সবচেয়ে সেরা মিডফিল্ডারদের একজন৷

ক্রুস এখনও মাঠে নিজের দাপট দেখাচ্ছেন৷ তিনি এখনও জার্মানির জাতীয় দলের অধিনায়ক এবং রিয়াল মাদ্রিদেও তার প্রভাব অব্যাহত রয়েছে৷ কীভাবে এই ফুটবল কিংবদন্তি তার ক্যারিয়ার শেষ করবেন তা দেখার জন্য আমরা সকলেই আগ্রহী৷