কলকি কালেকশন ওয়ার্ল্ডওয়াইড




একটা সময় ছিল যখন মানুষ কলকি গানের কথা শুনলেই কলিজা কেঁপে উঠতো। এমন গান লিখতে পারতেন শুধুমাত্র একজন কলকি। অসম্ভব এই মানুষটা কত সুন্দর, কত সাবলীল ভাবে দেশী, বিদেশী সব রকম গানই লিখতেন। যেমন, তিনি লিখেছিলেন দেশাত্মবোধক গান "আমি বাঙালি, দেশ আমার বাংলা" তেমনি আবার লিখেছিলেন প্রেমের মূর্ছনাব্যাঞ্জক গানও "আমি কি রকম যেন, তুমি তা বুঝবে কবে"।
আমি কিশোরী বয়সে কলকির গান শুনে প্রথম রাগরাগিণীর সংস্পর্শে আসি। তার গানের কথা যে কত সুন্দর তা বোঝাতে গেলে একের পর এক উদাহরণ দিতে হয়। যেমন,

"প্রিয়তমের লাজুক ঠোঁটে/নিজের ঠোঁটগুলো নিয়ে আসো"

"এমন দয়া তুমি করো না যায়/স্পর্শ করো তুমি নাহি কখনও"
শুনলেই যেন শরীরে একটা শিহরণ জাগে।
কলকির গান শুনে আমার মনে প্রেম প্রীতির অনুভূতি জাগতো। আমি যেন কল্পনায় হারিয়ে যেতাম। তার গান আমার মনকে প্রেমে সিক্ত করে দিত।
কলকির গানের সুরও ছিল অত্যন্ত মধুর। তার গান শুনলে মনে হতো যেন কোকিল ডাকছে। তার গানের সুরে ছিল রাগিণীর সঙ্গম।
কলকি কেবল গান লিখতেন না, তিনি গানও গাইতেন। তাঁর গানের কণ্ঠস্বর ছিল অত্যন্ত মিষ্টি। তার গান শুনলে মনে হতো যেন মধু আর রসের সমুদ্রে ভেসে যাচ্ছি।
কলকি শুধুমাত্র সুরকার বা গায়ক নন, তিনি একজন সমাজসেবীও ছিলেন। তিনি অসহায় মানুষদের সাহায্য করতে সবসময় প্রস্তুত থাকতেন। তিনি একটি সংগঠনও গঠন করেছিলেন গরীবদের সাহায্য করার জন্য।
কলকি এখন আর আমাদের মধ্যে নেই। কিন্তু তাঁর গানগুলো আজও আমাদের মনকে স্পর্শ করে। তাঁর গানের মাধ্যমে তিনি আজও আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।
তাঁর গানগুলো আমাদের হৃদয়কে স্পর্শ করে, আমাদের মনকে আনন্দে ভরে তোলে এবং আমাদের আত্মাকে উজ্জ্বল করে তোলে।
আসুন আমরা সকলে কলকির গান গাই, তাঁর স্মৃতিকে জীবন্ত রাখি এবং তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি।