কলকি মুভি: এক সাত্ত্বিক স্তোত্রের অবমাননা
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কিছুদিন থেকেই চিরাচরিত নিয়মনীতির বেড়াজাল ভেঙ্গে বেরিয়ে আসার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটা কতটা ইতিবাচক, তা নিয়ে নিশ্চয়ই বিতর্কের অবকাশ আছে। তবে, সম্প্রতি রিলিজ হওয়া “কলকি” মুভিটি নিঃসন্দেহে এই প্রবণতার অন্যতম প্রতিনিধি।
“কলকি” মুভির বড় আকর্ষণটি হল এটি মূলত ধর্মীয় বা এমনকি পৌরাণিক আখ্যায়িকাকে কেন্দ্র করে নির্মিত। তবে, “কলকি” কেবল ঐতিহাসিক পটভূমিতে নির্মিত একটা মুভি নয়। এটি স্পষ্টতই একটি সাত্ত্বিক প্রতীক, কলকির, অবমাননা।
মুভিটির কাহিনী অনুসারে, কলকি হলেন একজন যুবক, যিনি ভবিষ্যতে একজন মহান যোদ্ধা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবেন এবং দুনিয়াকে অশুভ শক্তি থেকে রক্ষা করবেন। তিনি বিষ্ণুর দশম অবতার এবং তিনি কালিকালের শেষে আবির্ভূত হবেন।
কিন্তু মুভিটিতে কলকিকে এমন একজন হিসাবে দেখানো হয়েছে, যে একজন বিদ্রোহী, প্রতিবাদকারী এবং সমাজবিরোধী। তিনি নিজের মতামত প্রকাশ করতে দ্বিধা করেন না এবং প্রতিষ্ঠানকে চ্যালেঞ্জ করতে ভয় পান না।
এই চিত্রায়নটি সাত্ত্বিক ধর্মীয় প্রতীকের অবমাননা ছাড়া আর কিছুই নয়। কলকি হলেন একজন দেবতা, একজন মুক্তিদাতা। তিনি বিদ্রোহী বা সমাজবিরোধী নন। তিনি হলেন শান্তি, সমৃद्धि এবং সুরক্ষার প্রতীক।
কলকির চরিত্রের এই চিত্রায়ন কেবল সাত্ত্বিক প্রতীকেরই অবমাননা নয়, এটি বিশ্বাসীদের বিশ্বাসেরও অবমাননা। বিশ্বাসীদের কাছে কলকি হলেন একজন পূজ্য ব্যক্তিত্ব এবং তাঁর প্রতিবাদী চিত্রায়ন তাদের আঘাত করবে।
এই মুভিটিকে ঐতিহাসিক না হয়েও ধর্মীয় বা পৌরাণিক বলা যেতে পারে। এই মুভির আড়ালে একটা নির্দিষ্ট বার্তা লুকানো। আর সেটা হলো ধর্মীয় প্রতীককেও চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে। আর এটা হলো প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার একটা রূপ।
কিন্তু প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা কখনোই সমাধান নয়। এটা কেবল বিশৃঙ্খলা ও অশান্তির দিকে নিয়ে যেতে পারে। ধর্মীয় প্রতীকগুলিকে চ্যালেঞ্জ করাও একটি ভালো ধারণা নয়। এটা কেবল বিশ্বাসীদের আঘাত করে এবং ধর্মীয় সংঘাতের দিকে নিয়ে যায়।
আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে এই ধরনের মুভি আর নির্মিত হবে না। ধর্মীয় প্রতীক এবং বিশ্বাসীদের বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা উচিত। প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা কখনোই সমাধান নয়। এটা কেবল বিশৃঙ্খলা ও অশান্তির দিকে নিয়ে যেতে পারে।