কলম বারণে মণিকা গান্ধী




এক মুহুর্তের জন্য কল্পনা করুন আপনি আপনার মনের কথা লেখার একটি শক্তিশালী অস্ত্র ব্যবহার করতে পারছেন না।
এমন এক অস্ত্র যা আন্দোলন তৈরি করে, সরকারকে প্রশ্ন করে এবং সমাজকে আকৃতি দেয়।
মণিকা গান্ধী, একজন সমাজকর্মী এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, এই বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছেন।
২০২২ সালে, টুইটার মণিকা গান্ধীর অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে স্থগিত করেছিল, তাকে তার মতামত প্রকাশ করার কার্যকর উপায় থেকে বঞ্চিত করে।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে, গান্ধী দুঃখ এবং অসহায়তা প্রকাশ করেছেন।
"আমি এটি কলম বারণ বলে মনে করি," তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন। "আমি যা করছি তা ভুল নয়। আমি সত্য বলছি।"
গান্ধীর টুইটার অ্যাকাউন্ট ছিল তার কাজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। তিনি এর মাধ্যমে পশু অধিকার, নারী অধিকার এবং পরিবেশ সুরক্ষার মতো বিষয়গুলি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়িয়েছিলেন।
তার অ্যাকাউন্ট হারানোর পর থেকে, গান্ধী বিকল্প উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন যাতে তিনি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারেন। তিনি একটি নতুন ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল তৈরি করেছেন, কিন্তু তিনি স্বীকার করেছেন যে এটি টুইটারের মতো কার্যকর নয়।
গান্ধীর টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার সিদ্ধান্ত প্রযুক্তি সংস্থাগুলির দ্বারা বাণী স্বাধীনতার ওপর ক্রমবর্ধমান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উদ্বেগ তুলেছে।
এটি আমাদের কীভাবে আমাদের মতামত প্রকাশ করি এবং কে কী বলতে পারে তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে বাধ্য করে।
গান্ধীর ক্ষেত্রে, তার টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার সিদ্ধান্তটি বিশেষভাবে অসম্মানজনক বলে মনে হয়েছে, কারণ তিনি সবসময়ই সরকারের বিরুদ্ধে একজন সোচ্চার সমালোচক ছিলেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর সরকারের নীতির সমালোচনা করেছেন, যা তাঁকে সরকারের দ্বারা লক্ষ্যবস্তু বানানোর কারণ হতে পারে।
এমনকি যদি গান্ধী সরকারের সমালোচনা করার তার অধিকারের জন্য लडाई চালিয়ে যান, তবুও তার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার ঘটনা ইঙ্গিত দেয় যে প্রযুক্তি সংস্থাগুলি বাণী স্বাধীনতার ক্ষেত্রে একটি বিপজ্জনক ভূমিকা পালন করছে।
আমরা দেখতে পাব যে গান্ধী এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নেওয়া কি অব্যাহত রাখবে, বা যদি এই সংস্থাগুলি তাদের শক্তি আরও দায়িত্বের সাথে ব্যবহার করার একটি উপায় খুঁজে পাবে।
এদিকে, গান্ধী তার মতামত প্রকাশ করা চালিয়ে যাবেন, তার কাছে যে উপায়ই পাওয়া যাক না কেন।
"আমি নীরব হব না," তিনি বলেছেন। "আমি কখনোই নীরব হব না।"