কেল্লায় নিপাহ আতঙ্ক




কেল্লায় নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আজ পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত মৃতদের মধ্যে সাংবাদিক, পেশাদার ডাক্তারসহ সরকারী কর্মচারীও আছেন। হঠাৎ ঘটে যাওয়া এ মৃত্যুতে কেল্লায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নিপাহ আক্রান্তদের পরিবারের লোকেরা ভয়ে পালিয়ে গেছেন। সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্কুল কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গ্রামে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।

এদিকে, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে উত্তর কেরালার কোজিকোড মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। এই আতজ্ঞান চিকিৎসক কোজিকোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করছিলেন। কিন্তু হাসপাতালটিতে সুযোগ-সুবিধা না থাকায় তাঁকে কোজিকোড মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। আরও সাতজন চিকিৎসক তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন বলে জানা গেছে। তাঁদের সকলকেই এখন আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনের রিপোর্ট ইতিমধ্যে পজেটিভ এসেছে।

নিপাহ ভাইরাসে এ পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে তিনজন ডাক্তার মারা গেছেন। এ ঘটনায় কেরল সরকার রাজ্যজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। সংক্রামিতদের চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সদের একটি দল মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়াও জেলা প্রশাসন কোনো রকম করোনার মতো পরিস্থিতি এড়াতে মাইকিং ও সামাজিক মাধ্যমে সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করছে।

নিপাহ ভাইরাস কি?

নিপাহ ভাইরাস একটি জুনোসিস ভাইরাস, যা প্রাণীদের থেকে মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়। এই ভাইরাসটি প্রাথমিকভাবে শুকর, ঘোড়া ও বাদুড়ের মতো প্রাণীদের দেহে থাকে।

নিপাহ ভাইরাসের লক্ষণগুলি কী কী?

নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রাথমিকভাবে মাথাব্যথা, জ্বর, পেশী ব্যথা ও বমি বমিভাব হয়। এরপর রোগীদের মস্তিষ্কের প্রদাহ, এনসেফালাইটিস দেখা দিতে পারে।

নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে কী করবেন?

নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সেগুলি হল:

  • পশুদের সাথে যোগাযোগ কমাতে হবে।
  • পশুর মাংস খাওয়ার আগে ভালো করে রান্না করতে হবে।
  • পাকা ফলমূল ও সবজি খেতে হবে।
  • হাত সব সময় ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

নিপাহ ভাইরাস একটি মারাত্মক রোগ। তাই এই রোগের সংক্রমণ রোধে উপরোক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।