কোলাহলহীন প্রথম দিন




আমরা সবাই এমন এক দিনে বাস করছি যেদিনটি এত শান্ত যে এটি প্রায় আতঙ্কজনক। শব্দ দূষণ আমাদের জীবনযাপনের একটি বিশাল অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে যে আমরা এটির অনুপস্থিতি অনুভব করতে অভ্যস্ত নই।
কিন্তু কল্পনা করুন একটি এমন দিন, যেখানে একেবারেই কোন শব্দ নেই। কোন গাড়ির হর্ন, কোন মানুষের গলার আওয়াজ, কোন যন্ত্রের শব্দ নেই। শুধুমাত্র একটি মৃদু বাতাস শব্দ, যা জানালার ফাঁক দিয়ে ঘরে প্রবেশ করছে।
এই শান্তির একটি অন্যরকম রকমের শক্তি আছে। এটি মনোযোগী হতে সাহায্য করে, আরও স্পষ্টভাবে চিন্তা করতে সাহায্য করে। এটি একটি নিরবচ্ছিন্ন আত্মার মতো, যা আমাদের আরও সচেতন এবং বর্তমান হতে সাহায্য করে।
আমি সম্প্রতি একটি রাত কাটিয়েছি এমন একটি বাড়িতে যেখানে কোন বিদ্যুৎ ছিল না। রাতের বেলা, এটি এত শান্ত ছিল যে আমি নিজের হৃদস্পন্দন শুনতে পারতাম। শুরুতে, এটি কিছুটা আতঙ্কজনক ছিল। কিন্তু তারপরে, আমি শান্তির অনুভূতি অনুভব করতে শুরু করি। আমার মন শান্ত হতে শুরু করেছে এবং আমার চিন্তাভাবনা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
শব্দ দূষণের অনেক নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। এটি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, স্ট্রেস বাড়াতে পারে এবং এমনকি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। কিন্তু শান্তিরও অনেক সুবিধা রয়েছে। এটি সৃজনশীলতা বাড়াতে পারে, একাগ্রতা উন্নত করতে পারে এবং এমনকি সামগ্রিক সুস্বাস্থ্যকে উন্নত করতে পারে।
আমাদের সবার এমন সময় প্রয়োজন যেখানে আমরা শান্তিতে থাকতে পারি, শব্দ দূষণ থেকে দূরে। এটি প্রকৃতির কোলে হোক বা নিজের বাড়িতেই হোক, শান্তি আমাদের মনের শান্তি এবং আমাদের সামগ্রিক সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়।
তাই আজই নিজের জন্য কিছু শান্তির সময় বের করুন। শব্দ দূষণ থেকে দূরে সরে যান এবং নিজেকে শান্তির উপহার দিন। আপনি বিশ্বাস করবেন না যে এটি কতটা তাফাত করতে পারে।