মৌর্য ১৯৫৯ সালের ১২ মে উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড় জেলার ফতেপুর মণ্ডলে একটি কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁদের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ ছিল, তাই তিনি তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা একটি সরকারি স্কুলে করেন। শিক্ষার প্রতি তাঁর সবসময় ঝোঁক ছিল এবং তিনি দায়িত্ববান ছাত্র ছিলেন। তিনি ফতেপুরের পিএন ডিগ্রি কলেজ থেকে রাজনীতিবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
রাজনৈতিক কর্মজীবনের প্রারম্ভমৌর্য তাঁর রাজনৈতিক কর্মজীবন শুরু করেন একজন ছাত্রনেতা হিসাবে। তিনি ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) সদস্য হন এবং পরে এর রাজ্য সভাপতিও নির্বাচিত হন। ছাত্র রাজনীতিতে তাঁর অভিজ্ঞতা তাঁকে নেতৃত্ব, সংগঠন এবং জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগের গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষা দিয়েছে।
বিধায়ক এবং মন্ত্রী২০০২ সালে, মৌর্য প্রতাপগড় থেকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং বিজয়ী হন। তিনি উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় চারবার নির্বাচিত হয়েছেন। বিধায়ক হিসেবে তাঁর কার্যকাল তাঁকে রাজ্যের মূলনীতি এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থার বিষয়ে গভীর অন্তর্দৃষ্টি দিয়েছে। তিনি বিভিন্ন মন্ত্রকের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন, যার মধ্যে কৃষি, জনস্বাস্থ্য এবং সেচ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী২০১৭ সালে, মৌর্যকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর কার্যকাল বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
মৌর্যের ব্যক্তিগত জীবন সরল এবং সুখী। তিনি ডঃ রীনায় মৌর্যকে বিয়ে করেছেন এবং দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। তিনি একজন কৃষিবিদ এবং তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় খেত ও কৃষকদের সঙ্গে কাটিয়েছেন। তিনি একজন উৎসাহী পাঠক এবং তাঁর পছন্দের বিষয়গুলি হল ইতিহাস, রাজনীতি এবং কৃষি।
পরিবর্তনের এজেন্টকেশব প্রসাদ মৌর্য উত্তরপ্রদেশে পরিবর্তনের এজেন্ট হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। তিনি অনেক বাধা অতিক্রম করেছেন এবং তাঁর রাজ্যকে উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করে চলেছেন। তাঁর দৃঢ় সংকল্প, সৎ উদ্দেশ্য এবং জনগণের প্রতি অঙ্গীকার তাঁকে এই প্রজন্মের অন্যতম অনুপ্রেরণাদায়ী রাজনীতিবিদদের একজন করে তুলেছে।
কল টু অ্যাকশনউত্তরপ্রদেশের ভবিষ্যত উজ্জ্বল এবং সম্ভাবনাময়। কেশব প্রসাদ মৌর্যের নেতৃত্বে আমাদের রাজ্য নিজেকে একটি শীর্ষস্থানীয় রাজ্য হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করবে। আমাদের সকলের উচিত তাঁর সাথে সহযোগিতা করা এবং উত্তরপ্রদেশকে দেশের অন্যতম সফল রাজ্য হিসাবে দেখার জন্য কাজ করা উচিত।