কি এই অ্যাঞ্জেল ট্যাক্স?




যে কোনও কিছু যখন শুরু করা যায়, তখন পাশে দাঁড়াতে অনেকেরই দেখা যায়। কিন্তু কাজের মাঝপথে আস্তে আস্তে অল্প কিছু মানুষই রয়ে যায়। একই অবস্থা হয় সংস্থা স্থাপনের ক্ষেত্রেও। আপনার নতুন ব্যবসা শুরুর সময় অনেক বিনিয়োগকারী পেতে পারেন, কিন্তু পরবর্তীতে বিনিয়োগের পরিমাণ কমবে এবং বিনিয়োগকারীরাও অল্প কিছুতেই আগ্রহী হবেন।

বিনিয়োগকারীদের থেকে প্রাপ্ত এই অতিরিক্ত অর্থই অ্যাঞ্জেল ট্যাক্স। অর্থাৎ, কোনও সংস্থার মূলধনের চেয়ে যদি শেয়ার বিক্রি ও বিনিয়োগের পরিমাণ বেশি হয়, তাহলে সংস্থাকে আয়করের পরিধিতে আনা হয়, যাকে অ্যাঞ্জেল ট্যাক্স বলা হয়।

সরকারের মতে, এই অ্যাঞ্জেল ট্যাক্স হল একপ্রকারের অস্বাভাবিক লাভ। সরকার বিশ্বাস করে যে প্রতিটি সংস্থা তার ব্যবসায়িক কার্যকলাপের মাধ্যমে লাভ করে এবং তার ভিত্তিতেই কর দিতে হয়। কিন্তু যদি কোনও সংস্থা অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টমেন্ট বা ভেনচার ক্যাপিটালের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে, তাহলে সেই অর্থকে সরকার ন্যায্য আয় হিসেবে স্বীকার করে না এবং তাকে করযোগ্য আয় বলে মনে করে।

অত্যধিক অ্যাঞ্জেল ট্যাক্স একটি সংস্থার সকল বিনিয়োগকারীদের কাছেই বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। এটি একটি সংস্থার অপারেটিং লাভও কমাতে পারে। পরিশেষে, কিছু সংস্থায় বিনিয়োগের পরিমাণ কমে যায় এবং শেয়ারের মূল্যও কমে যায়। এটি বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাসের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

কিভাবে অ্যাঞ্জেল ট্যাক্সের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন?
  • আপনার সংস্থার মূলধন অর্থাৎ ফেস ভ্যালু যতটা সম্ভব বেশি করুন।
  • আপনার সংস্থার ফাউন্ডারের ইক্যুইটি শেয়ার হোল্ডিং যতটা সম্ভব কম করুন
  • বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ঋণ হিসাবে অর্থ সংগ্রহ করার চেষ্টা করুন।
  • আপনার সংস্থার অর্থের ব্যবহারের উপর নজর রাখুন। অপ্রয়োজনীয় খরচ এড়িয়ে চলুন
  • আপনার সংস্থার আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়মিতভাবে দেখুন।
  • অ্যাঞ্জেল ট্যাক্স এড়াতে সরকারি আইনজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

অ্যাঞ্জেল ট্যাক্স একটি জটিল বিষয়। তবে যদি আপনি সঠিকভাবে এটিকে বুঝতে এবং এড়াতে পারেন, তাহলে আপনার সংস্থার অপারেটিং লাভের উপর এর কোনও প্রভাব পড়বে না।

"একটি সফল ব্যবসার জন্য অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই অ্যাঞ্জেল ট্যাক্স সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য জেনে এবং সাবধানতা অবলম্বন করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হবে।"