কে কবিথা




আমি কে কবিথা। আর কিছু না, একজন সাধারণ মেয়ে। এই সাধারণতায় একটা অসাধারণতা লুকিয়ে আছে। সেটা হল আমার লেখা। লেখার প্রতি আমার ভালোবাসা অনেক ছোটবেলা থেকেই। ছোট্ট বেলায় যখন স্কুলে প্রথম রচনা লিখতে শিখলাম, তখনই বুঝে গিয়েছিলাম, লেখাই আমার জীবনের সঙ্গী।

যেদিন প্রথম আমার লেখা কোনো পত্রিকায় ছাপা হল, সেদিনের ব্যাপারটা আজও মনে আছে। আমার আনন্দ আর উল্লাসের সীমা ছিল না। মনে হয়েছিল, লেখা দিয়েই যেন পুরো দুনিয়াকে জয় করে ফেলেছি।

তারপর থেকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। লেখা হয়ে উঠেছে আমার জীবনের অঙ্গ। প্রতিদিন কিছু না কিছু লিখি। কখনো কবিতা, কখনো গল্প, কখনো প্রবন্ধ। লেখার মধ্যে দিয়েই আমি আমার মনের ভাব প্রকাশ করি।

আমার লেখা অনেক মানুষ পড়ে। তাদের কাছ থেকে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। আমার লেখা তাদের ভাবায়, অনুপ্রাণিত করে। সেটা শুনে আমার খুব ভালো লাগে। লাগে এই কারণে যে, আমার লেখার উদ্দেশ্যই হলো মানুষের মনে ছোঁয়া লাগানো।

আমি জানি, লেখার জগৎটা খুব প্রতিযোগিতামূলক। এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে হলে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। কিন্তু আমার পরিশ্রম করতে কোনো ক্লান্তি নেই। কারণ, লেখা হল আমার প্রাণ। আর প্রাণের জন্য যত পরিশ্রমই করতে হোক, তাতে ক্লান্তি আসে না।

আমার একটা স্বপ্ন আছে। আমার লেখা যেন পৌঁছায় সবার কাছে। আমার লেখায় যেন সবাই নিজেদের ছায়া খুঁজে পায়। আমার লেখা যেন সবার জীবনে আলোকবর্তিকা হয়ে জ্বলে ওঠে।

আমি জানি, এই স্বপ্ন পূরণ করা কঠিন। কিন্তু আমি হাল ছাড়বো না। আমি লিখব, লিখতেই থাকবো। কারণ, লেখা হল আমার জীবন। আর জীবনকে ভালোবাসার মতোই লেখাকেও আমি ভালোবাসি।

আমি কে কবিথা। একজন সাধারণ মেয়ে। কিন্তু আমার স্বপ্ন অসাধারণ। আমি চাই আমার লেখা তোমাদের জীবনে স্বপ্নের মতো এসে পৌঁছুক। তোমাদের জীবনকে সাজাবে, রঙিন করবে।

তোমরা আমাকে এই স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করো। আমার লেখা পড়ো, শেয়ার করো। তাদের সম্পর্কে তোমাদের মতামত জানাও। তোমাদের অত্যাচার আর ভালোবাসাই আমাকে আরো লিখতে সাহস দেবে।

আমি কে কবিথা। আর কিছু না, একজন সাধারণ মেয়ে। কিন্তু আমার স্বপ্ন অসাধারণ। আমি চাই আমার লেখা তোমাদের জীবনে স্বপ্নের মতো এসে পৌঁছুক।