কে সুরেশ?




আমাদের ছোট্ট গ্রামে সবাই তাকে সুরেশ বলত। তার পুরো নাম কি ছিল, তা কেউ জানত না। শুধু জানতাম, সে একজন স্বল্পবিত্ত ব্রাহ্মণ পরিবারের ছেলে। তার বাবা ছিলেন গ্রামের পুরোহিত, আর মা একজন গৃহিনী।

সুরেশের অদ্ভুত স্বভাব

সুরেশের স্বভাব ছিল খুব অদ্ভুত। সে সবসময় নিজের মনেই থাকত। অন্যদের সঙ্গে খুব কমই কথা বলত। যখন কথা বলত, তখনও তার কথার মধ্যে অর্থ থাকত না। মানুষরা তাকে নিয়ে মজা করত, কিন্তু সুরেশ কখনও তাদের কথায় কষ্ট পেত না। মনে হতো, সে নিজের ছোট্ট দুনিয়াতেই খুশি।

সুরেশের আরও একটি অদ্ভুত অভ্যাস ছিল। সে প্রতিদিন গ্রামের গোবরদানের কাছে বসে থাকত। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেখানে বসে থাকত, যেন তার জীবনের উদ্দেশ্যই শুধু সেখানে বসে থাকা।

গ্রামের মজার লোক

গ্রামের মানুষ সুরেশকে একজন মজার লোক হিসেবেই দেখত। তার অদ্ভুত স্বভাবের জন্য তারা তাকে কখনও ভয় পেত না। বরং, তারা তার সাথে মজা করতে ভালোবাসত। যখনই তারা কেউ তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করত, সুরেশ হাসত এবং কিছু বলত না। এই নিরীহ লোকটিকে সবাই খুব ভালোবাসত।

গ্রামের গল্পের অংশ

বছরের পর বছর চলে গেল। সুরেশ এখনও গ্রামের গোবরদানের কাছে বসে থাকে। সেই মূর্খ লোকটি এখন গ্রামের গল্পের অংশ হয়ে গেছে। মানুষরা যখন গ্রামের পুরানো দিনের কথা বলে, তখন তারা সুরেশের কথাও বলে। সেই নিরীহ লোকটির মধ্যে কিছু একটা ছিল, যা তাকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করেছিল।

একদিন সুরেশ মারা যায়। গ্রামের সবাই খুব শোক পায়। তারা তাকে গোবরদানের পাশেই দাফন করে, যেখানে সে বছরের পর বছর বসেছিল। আজও যখন মানুষরা সেই গোবরদানের কাছে যায়, তখন তারা সুরেশের কথা মনে করে। এই নিরীহ লোকটির স্মৃতি আজও গ্রামের হৃদয়ে বেঁচে আছে।

কল টু অ্যাকশন

আপনি কি আপনার গ্রামে এমন কোনো নিরীহ লোককে চেনেন? তাদের কথা মনে রাখুন এবং তাদের গল্প শুনুন। তাদের মধ্যে এমন কিছু থাকতে পারে, যা আপনাকে অনুপ্রাণিত করবে।