মুম্বাই শহরের হৃদয়ে অবস্থিত মাহিম একটা ঘনবসতিপূর্ণ উপকূলবর্তী এলাকা। এখানকার রাস্তাগুলি সব সময় ব্যস্ত থাকে লোকজনের ভিড়ে, আর এখানকার বাজারগুলি সব সময় গুঞ্জায়মান থাকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কলরবে। কিন্তু এই সমস্ত জমজমাটের মধ্যেই একদিন ঘটে গেল একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
একটি খুন...একটি গরম গ্রীষ্মকালীন সন্ধ্যায়, মাহিমের একটি অন্ধকার গলির মধ্যে একটি নিস্তেজ দেহ পড়ে থাকতে দেখা গেল। মৃতদেহটি ছিল একজন যুবকের, যার গায়ে ছিল ছুরির বেশ কয়েকটি আঘাত। এলাকায় তাৎক্ষণিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল এবং পুলিশকে খবর দেওয়া হল।
তদন্ত শুরু...পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করল। মৃতদেহটি পরীক্ষা করে তারা জানতে পারল যে, যুবকটিকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। তার গায়ের আঘাতগুলি দেখে মনে হচ্ছিল, খুনি তার ওপর অসীম ক্রোধের সঙ্গে হামলা চালিয়েছে।
পুলিশ স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করল এবং আশপাশের এলাকাটি তল্লাশি করল। তাদের হাতে এল কিছু সূত্র, যা তাদের খুনির দিকে নিয়ে গেল।
খুনির চিহ্নিতকরণ...তদন্তকারীরা জানতে পারলেন যে, খুন হওয়া যুবকটি একজন স্থানীয় গুন্ডা গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিল। তাদের সন্দেহ হল যে, এই গুন্ডা গোষ্ঠীই হয়তো যুবকটিকে মেরেছে।
পুলিশ গুন্ডা গোষ্ঠীর সম্ভাব্য সদস্যদের ওপর নজর রাখতে শুরু করল। কিছুদিনের মধ্যেই তাদের সন্দেহ সত্যি প্রমাণিত হল। তারা গ্রেপ্তার করল গুন্ডা গোষ্ঠীর নেতাকে, যে স্বীকার করল যে সেই নিজেই যুবকটিকে খুন করেছে।
গুন্ডা গোষ্ঠীর নেতা পুলিশকে জানাল যে, যুবকটি তাদের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তথ্য দিচ্ছিল, যা তাদের অবৈধ কার্যকলাপ চালানোর পক্ষে হুমকিস্বরূপ ছিল। তাই তারা যুবকটিকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
শেষ কথা...মাহিমে খুনের ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এটি দেখিয়েছিল যে, শহরের এমন একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাতেও অপরাধ অনুপ্রবেশ করতে পারে।
এই ঘটনাটি এও দেখিয়েছিল যে, পুলিশ কতটা দৃঢ় সংকল্পের সঙ্গে অপরাধীদের ন্যায়বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা করে। তাদের দ্রুত তদন্ত এবং খুনিকে গ্রেপ্তার করার কাজটি সরকারি কর্তৃপক্ষের দক্ষতার প্রমাণ।
মাহিমে খুনের ঘটনাটি আমাদের সকলকে অপরাধের ভয়ংক পরিণতির কথা মনে করিয়ে দেয়। এটি আমাদের সকলকে সতর্ক হতে এবং আমাদের সমাজকে অপরাধমুক্ত রাখার জন্য সব কিছু করার আহ্বান জানায়।