গুগল এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিগত সংস্থাগুলোর একটি। তাদের বিশ্বব্যাপী বিশাল সংখ্যক কর্মী রয়েছে, এবং তাদের কাজের পরিবেশের জন্য তাদের প্রশংসা করা হয়। যাইহোক, সাম্প্রতিক মাসগুলিতে, গুগল কর্মচ্যুতির একটি সিরিজ চালু করেছে, যা কিছু কর্মচারী এবং বাইরের পর্যবেক্ষক উভয়ের মধ্যেই উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
গুগলের বর্তমান কর্মচ্যুতির প্রথম পর্ব জানুয়ারী 2023 সালে ঘটেছিল, যখন সংস্থাটি তাদের কর্মীদের প্রায় 6 শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় 12,000 জনকে ছাঁটাই করে দিয়েছিল। এই কর্মচ্যুতির জন্য অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি, বিজ্ঞাপন রাজস্ব হ্রাস এবং প্রতিযোগী সংস্থাগুলির সঙ্গে বর্ধিত প্রতিযোগিতা সহ বিভিন্ন কারণকে দায়ী করা হয়েছিল।
গুগলের দ্বিতীয় পর্বের কর্মচ্যুতি মার্চ 2023 সালে ঘটেছিল, যখন সংস্থাটি অতিরিক্ত 600 জন কর্মী ছাঁটাই করে দিয়েছিল। এই কর্মচ্যুতিটিও প্রথম পর্বের একই কারণগুলির কারণে ঘটেছিল।
সাম্প্রতিকতম পর্বের কর্মচ্যুতিটি আগস্ট 2023 সালে ঘটেছিল, যখন গুগল তাদের কর্মীদের প্রায় 10 শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় 15,000 জনকে ছাঁটাই করে দিয়েছিল। এই কর্মচ্যুতিটি এখনও বিকাশমান, এবং এর কারণগুলি এখনও অস্পষ্ট।
গুগলের কর্মচ্যুতি সিরিজ কর্মচারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। অনেকে তাদের চাকরি হারানোর ভয়ে রয়েছেন, এবং কিছু কর্মী তাদের কাজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে শুরু করেছেন। কর্মচ্যুতিটি গুগলের খ্যাতিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা একসময় কর্মচারীদের জন্য একটি খুবই আকাঙ্ক্ষিত কর্মস্থল হিসাবে বিবেচিত হত।
গুগলের কর্মচ্যুতি সম্পর্কে উদ্বেগের মধ্যে একটি বিষয় হল যে এটি অন্যান্য প্রযুক্তিগত সংস্থাগুলিতে কর্মচ্যুতির একটি প্রবণতা নির্দেশ করতে পারে। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে, মেটা, অ্যামাজন এবং মাইক্রোসফট সহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি প্রযুক্তিগত সংস্থাও কর্মীদের ছাঁটাই করেছে। এটা সম্ভব যে গুগলের কর্মচ্যুতি অন্য সংস্থাগুলিকে অনুসরণ করার জন্য উৎসাহিত করতে পারে, যার ফলে প্রযুক্তিগত খাতে কর্মচ্যুতির একটি বৃহত্তর প্রবণতা তৈরি হতে পারে।
গুগলের কর্মচ্যুতির প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে। এটি গুগলের খ্যাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, কর্মচারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত সংস্থাগুলিতে কর্মচ্যুতির প্রবণতা শুরু করতে পারে। গুগলের কর্মচ্যুতির প্রভাব কী হবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করা বাকি।