গণতন্ত্রের মহাপর্ব
ব্যক্তিস্বাধীনতার সনদ বা গণতন্ত্রের মহাপর্ব হলো সংবিধান দিবস। ভারতের সংবিধান অবলম্বনে এই দিবসটি পালন করা হয়৷ সারা বিশ্বে এই দিবসটি পালন করা হলেও, প্রতিটি দেশে এই দিবসটি পালন করা হয় তাদের নিজেদের সংবিধান গৃহীত করার দিনে৷ ভারতবর্ষে এটি পালিত হয় ২৬ নভেম্বর তারিখে।
ভারতীয়রা নিজেরাই জানেন যে, তাদের দেশে বিশ্বের সবচেয়ে বড় লিখিত সংবিধান রয়েছে৷ এই সংবিধানের প্রস্তাবনাটি খুবই সুন্দর। যদি কেউ চায় তাহলে এটি ভালো করে পড়ে নিতে পারে। এই সংবিধানে মোট ৩৯৫ অনুচ্ছেদ, ১২ তফসিল এবং দুটি অংশ রয়েছে৷ নির্বাচনী রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিষয়ক বক্তব্য প্রদান করা হয়। জ্ঞানী ও তরুন মস্তিষ্করা একে গুরুত্ব দিতে চায়৷
সংবিধান দিবস বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বটে কিন্তু এটি কিভাবে এতটা গুরুত্বপূর্ণ তা জানা তো উচিত। সংবিধান দিবসটি পালনের মূল কারণ হল, এর মাধ্যমে আমরা দেশের আইন, গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সমতা, ন্যায়বিচার, ভ্রাতৃত্ব এবং সৌরবের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই৷ তাই তো সংবিধান প্রণেতাদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আমরা এই বিশেষ দিনটি পালন করি৷ আর সংবিধানের সুরক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণের শপথ নিই।
এরপর আমরা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে পারি যে তার শপথ কি করে রক্ষা করা যায়। প্রথমত, সংবিধান সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করা৷ অপরপক্ষে অন্যকেও এই জ্ঞান দেয়ার চেষ্টা করা৷ দ্বিতীয়ত, আইন ও বিধিনিষেধ মেনে চলা এবং অন্যকেও তা মেনে চলতে উৎসাহিত করা৷ তৃতীয়ত, সংবিধানের মূলনীতিগুলিকে প্রতিদিনের জীবনে অনুসরণ করা এবং অন্যকেও তা করতে উত্সাহিত করা৷ শেষ কথাটি হল, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে সংবিধানের রক্ষাকবচ মজবুত করা৷
সংবিধান যদি কোনো দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়, তাহলে তার প্রতিটি নাগরিকের জন্যও তা একই রকম গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় নাগরিক হিসাবে আমাদের সম্মানিত সংবিধানের মূল্য বুঝতে হবে এবং তা রক্ষা করতে হবে। কারণ এটা আমাদের অধিকারের সনদ। এটা আমাদের দ্বায়িত্বও বটে৷ সবাই মিলে আমরা যদি আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে পারি, তাহলে আমরা একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ ভারত গড়ে তুলতে পারব।