গণেশ চতুর্থী




ওপার সাগরে বসেও মাঝেমধ্যে মায়ের ভাতের আধুরে কষ্ট হয়। জানতাম না কিছু হবে আর আমার এত দিন অপেক্ষার পরে সব কিছু ঠিক মতই হবে। গণেশ চতুর্থী উদযাপনে আমি আমার জন্মভূমি ছেড়ে অনেকদূরে এসেছি বটে, কিন্তু আজকের দিন মনে হচ্ছে সব ভালোর জন্য একটা সুযোগ পাওয়া গেছে। পুরীতে গণেশ চতুর্থীর ভিড়ের মধ্যে পুজোর ব্যাপারটা সম্পূর্ণ অন্যদিক। আমার গ্রামের চেয়ে অনেক ভিড় আর আমার বাড়ি থেকে অনেক আলাদা। এখানে জাঁকজমক, কিন্তু সেখানে শান্তি।
আমার গ্রামে গণেশ চতুর্থীতে এত ভিড় হয় না। আমরা সাধারণত পাঁচ দিনের জন্য মণ্ডপে মূর্তি নিয়ে আসি এবং পুজোর সমস্ত দিনই ঘরে ঘরে যাই। আমরা প্রতিটি বাড়িতে সমস্ত ধরণের প্রসাদ পাই, যেমন মোদক, লাড্ডু, মিষ্টি এবং অন্যান্য সুস্বাদু খাবার। মূর্তি বিসর্জনের আগে, আমরা একটি বিশাল শোভাযাত্রার আয়োজন করি এবং সকলে মিলে গান গাই, নাচি এবং আনন্দ করি। এটি সত্যিই একটি দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা, এবং আমি এটি প্রতিবছর অপেক্ষা করি।
এই বছর, আমি আমার গ্রামের চতুর্থী পুজো পুরীতে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি জানতাম যে এটি ভিন্ন হবে, তবে আমি প্রস্তুত ছিলাম না কিভাবে ভিন্ন হবে। পুরীর গণেশ চতুর্থীর ভিড় আমাকে প্রথমেই বিস্মিত করেছিল। মনে হচ্ছিল পুরো শহরই পুজোর জন্য বের হয়ে এসেছে। রাস্তাগুলি মানুষে ভরে গিয়েছিল এবং পুজোর শব্দ দূর থেকেই শোনা যাচ্ছিল।
ভিড় সত্ত্বেও, আমি পুজোর ব্যাপারটা উপভোগ করেছি। মণ্ডপগুলি অলঙ্কৃত ছিল এবং মূর্তিগুলি সত্যই বিস্ময়কর ছিল। আমি প্রার্থনা করেছি, ঘরে ঘরে গেছি এবং সুস্বাদু খাবার খেয়েছি। মূর্তি বিসর্জনের শোভাযাত্রাটিও অবিস্মরণীয় ছিল। শোভাযাত্রাটি কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ ছিল এবং এটিতে হাজার হাজার লোক অংশ নিয়েছিল। শোভাযাত্রার শেষে সমুদ্রের তীরে মূর্তিগুলি নিয়ে বিসর্জন করা হয়।
পুরীতে গণেশ চতুর্থী পালন একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা ছিল। এটি আমার গ্রামের চতুর্থী পুজোর থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল, তবে এটিও তার নিজস্ব উপায়ে বিশেষ ছিল। আমি ভিড় এবং জাঁকজমক উপভোগ করেছি, এবং আমি মনে করি আমি আবারও এখানে চতুর্থী পালন করার জন্য ফিরে আসব।
গণেশ চতুর্থী উদযাপন শুধু একটি উৎসব নয়। এটি একটি সময় যখন আমরা আমাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে একত্রিত হই, আমাদের সংস্কৃতির উদযাপন করি এবং ভগবান গণেশের আশীর্বাদ চাই। আমি আশা করি যে আপনারা সকলেই এই গণেশ চতুর্থী উপভোগ করবেন এবং ভগবান গণেশ আপনাদের সকল ইচ্ছা পূর্ণ করবেন।
গণেশ চতুর্থী শুভেচ্ছা!