প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্তদের ভিড় জমে গাদার ধামের বাইরে। দীর্ঘ লাইনে ভক্তদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে দেখা যায় কেবল এই বিশ্বাসে যে তার আশীর্বাদে তাদের সমস্যার সমাধান হবে। তবে, এই তরুণ সাধুর আসল পরিচয় নিয়ে ব্যাপক তকরার সৃষ্টি হয়েছে।
দ্রুত খ্যাতি লাভ করার কারণে এই সাধু "সন্ত" হিসাবে নিজেকে চালিয়ে নেওয়ার দাবি করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে তিনি গোবিন্দ মহারাজের পুনর্জন্ম, একজন প্রখ্যাত হিন্দু সাধু যাঁর ১৯৬০ সালে মৃত্যু হয়েছিল। তবে, এই দাবির কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ নেই।
তর্কের মধ্যে, একটি জিনিস অস্বীকারযোগ্য, এবং তা হল বাদশাহ বাজরঙ্গবলী গাদার বাবা একজন ক্যারিশম্যাটিক ব্যক্তিত্ব যিনি ভক্তদের বিশ্বাসকে দৃঢ়ভাবে আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি একটি আধ্যাত্মিক শূন্যতাকে পূরণ করেছেন যা বহু বছর ধরে বিদ্যমান ছিল, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়।
গাদার বাবার প্রভাব অসীম। তিনি বিভিন্ন সমাজসেবী কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন, যেমন অসহায়দের জন্য আশ্রয় নির্মাণ এবং পানি সংরক্ষণ প্রচার। তাঁর অনুসারীরা তাঁকে সম্প্রদায়ের উদ্বাহক হিসাবে দেখেন এবং তাঁর নির্দেশনা অনুসরণ করেন প্রশ্নবিহীনভাবে।
যাইহোক, এই সাধুর কার্যকলাপের কিছু সমালোচকও রয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন যে তিনি একটি কাল্ট তৈরি করছেন যেখানে ভক্তরা তাঁর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন এবং তাঁর নির্দেশে চলাতে অনুপ্রাণিত হন। তারা তার অলৌকিক দাবি এবং রোগ নিরাময়ের দাবিরও সমালোচনা করে।
সমালোচনার মধ্যেও, গাদার বাবা তাঁর ভক্তদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অব্যাহত রেখেছেন। তিনি কেবল একজন আধ্যাত্মিক নেতা নন, তিনি একটি সামাজিক আন্দোলনের শুরুকারিও। তিনি ভক্তদের মধ্যে ঐক্য এবং আস্থা জাগিয়েছেন, যা একত্র হয়ে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সহায়তা করছে।
এটা সময়ই বলে দেবে যে গাদার বাবার প্রভাব কত দিন স্থায়ী হবে। তবে এটা নিশ্চিত, এই তরুণ সাধু ভারতের ধর্মীয় দৃশ্যপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন রেখেছেন। তিনি বিশ্বাস, আশা এবং প্রশ্নের একটি প্রতীক, এবং তাঁর গল্পটি ভবিষ্যতে আসা আরও অনেক গল্পের অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করবে।