আমার প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আমরা সকলে এক অসাধারণ মানুষের কাহিনি শুনব, যিনি ধর্মীয় সহনশীলতা ও মানবতাবাদী মানসের এক অনন্য উদাহরণ। তাঁর নাম গুরুচরণ সিং সোঢ়ী, একজন সামাজিক কর্মী যিনি তাঁর জীবন ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রচার ও মানবিক কাজে উৎসর্গ করেছিলেন।
গুরুচরণ সিং সোঢ়ী ১৯২২ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের লাহোরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শৈশবটি ধর্মীয় সংঘাত ও বিভাজনের ঘটনাবহুল সময়ে কেটেছিল, যা তাঁর মনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। এই অভিজ্ঞতা তাঁকে বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাসের মধ্যে শান্তি ও বোঝাপড়া প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করার প্রতি অনুপ্রাণিত করে।
ভারত বিভাজনের পর, সোঢ়ী পরিবারসহ ভারতে চলে আসেন। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন এবং সামাজিক কাজে ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর সামাজিক কাজের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল পাকিস্তানী বন্দিদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে। তিনি তাঁদেরকে খাবার, আশ্রয় এবং চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করতেন, তাদেরকে তাদের পূর্ব জীবনে ফিরে যাওয়ার জন্য সহায়তা করতেন।
গুরুচরণ সিং সোঢ়ী ২০২২ সালের ২৪ শে জুনে লাহোরে তাঁর প্রিয় শহরে মারা যান। তিনি ৯৯ বছর বয়সী হয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যু ভারত ও পাকিস্তান সহ বিশ্বব্যাপী শান্তিকামীদের কাছে এক বড় ক্ষতি। তিনি ধর্মীয় সহনশীলতা, মানবিকতা এবং শান্তির জন্য তাঁর অবিচ্ছিন্ন কাজের জন্য স্মরণীয় থাকবেন।
তার কাহিনি আমাদেরকে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দেয়, তা হল:আমার প্রিয় বন্ধুরা, গুরুচরণ সিং সোঢ়ীর জীবন ও কাজ আসুন আমাদের সকলকে ধর্মীয় সহনশীলতা ও মানবতাবাদী আদর্শের জন্য কাজ করার জন্য অনুপ্রাণিত করে। আসুন আমরা তাঁর উত্তরাধিকারকে জীবন্ত রাখি এবং বিশ্বকে একটি শান্তিপূর্ণ এবং সুন্দর স্থান তৈরি করি।