গ্রীষ্ম হত্যাকাণ্ড, যা ব্যাপকভাবে "গ্রীষ্ম কেস" নামে পরিচিত, ভারতীয় ফৌজদারি ইতিহাসে একটি রহস্যময় ও বিভ্রান্তিকর ঘটনা। 1993 সালের 5 জুলাই, একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী যুবতী, গ্রীষ্ম মৈত্র, তার নিজের বাড়িতে নির্মমভাবে খুন হন। মামলাটি অমীমাংসিত রয়ে গেছে, এবং হত্যাকারী এখনও অজ্ঞাত।
গ্রীষ্ম একজন মেধাবী ছাত্রী ছিলেন, যিনি তার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে hartate ছিলেন। তিনি তার পরিবারের সঙ্গে একটি নিরীহ জীবনযাপন করতেন, এবং তাঁর কোনো শত্রু ছিল বলে জানা যায়নি। ঘটনার দিনে, তিনি সকালে তার কলেজে চলে যান এবং বিকেলে ফিরে আসেন। কিন্তু বিকেলে তিনি যখন ফিরে আসেন, তখন তাঁর বাড়ি খোলা থাকে। তাঁর পরিবার তাঁকে খুঁজে পায়, শোবার ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা।
পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং তাদের মূলত সন্দেহ ছিল যে এটি একটি ডাকাতির চেষ্টা ভুল হয়ে গেছে। কিন্তু তদন্তের ফলে দেখা যায় যে গ্রীষ্মের কোনও মূল্যবান জিনিস চুরি হয়নি। ত此外, তাঁর শরীরে অসংখ্য ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় যে খুনটি ব্যক্তিগত বিদ্বেষ থেকেই ঘটেছে।
গ্রীষ্মের খুনের তদন্ত দ্রুতই একটি অন্ধকার গহ্বর বনে যায়। পুলিশের কাছে কোনো দৃঢ় সূত্র ছিল না এবং প্রত্যেকটি সন্দেহভাজন দ্রুতই বাদ পড়ে। মামলাটি শীঘ্রই ঠান্ডা হয়ে যায় এবং গ্রীষ্মের খুনের রহস্য একটি অমীমাংসিত ধাঁধায় পরিণত হয়।
গ্রীষ্মের খুনের মামলাটি ভারতীয় সমাজে একটি গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। এটি একটি নিরীহ তরুণীর জীবন কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি বিচার ও জবাবদিহিতার প্রতি এক সঙ্কল্প। মামলাটি এখনও জনসাধারণের মনে একটি জ্বলন্ত প্রশ্ন হিসাবে রয়ে গেছে, এবং কিছু লোক বিশ্বাস করে যে গ্রীষ্মের খুনের রহস্যটি একদিন উন্মোচিত হবে।
গ্রীষ্মের খুনের মামলাটি অন্ধকারে ডুবে আছে এমন একটি তিক্ত সত্য, যার কোনো দৃশ্যমান সমাধান নেই। এটি একটি নিরীহ জীবনের অকাল মৃত্যুর পাশাপাশি বিচারের ব্যর্থতার স্মারক হিসাবে সামনে রয়ে গেছে। গ্রীষ্মের খুনের রহস্যটি শেষ পর্যন্ত উন্মোচিত হবে কিনা তা কেউ জানে না, তবে মামলাটি ভারতীয় সমাজে বিচারের গুরুত্বের একটি অবিরাম স্মারক হিসাবে রয়ে যাবে।