গ্ল্যামারের গ্ল্যামার নেই আর! উঠে এসেছে প্রতিভা!




বেশ কয়েক বছর ধরে শিক্ষা খাতে সরকারী চাকরিক্ষেত্রে নিয়োগ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে চরম দুর্নীতি প্রকট হয়ে উঠেছে। সেই অভিযোগ চলেছে বেশ কিছু বছর ধরেই। একাধিক টেট পরীক্ষায় উপযুক্ত প্রার্থীদের পাশ করানোর জন্য কয়েক লাখ অথবা লক্ষাধিক টাকা গুনতে হয়। আর এসব অভিযোগ মাঝে মধ্যেই প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন প্রার্থী সংগঠন। তবে সরকারের কড়া পদক্ষেপের অভাবে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা যায় নি।

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ওঠে। স্বচ্ছতা না থাকার কারণে একাধিকবার প্রার্থীদের দ্বারা বিক্ষোভ হয়েছে পর্ষদ দফতরে। হল টিকিট না দিয়ে বা না দিয়েছে তাতে ভুল রেখে দিয়েছে অভিযোগের শেষ নেই। কিন্তু এই বছর তা খানিকটা বদলেছে।

এই বছর অর্থাৎ 2024 সালে AP TET পরীক্ষার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিই সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়েছে। এতে প্রার্থীদের মধ্যেও আশার পাথর দেখা দিয়েছে। তবে সম্পূর্ণ নির্দিষ্ট ভাবে দুর্নীতির ইতি হয়েছে কিনা সেটা এমন কিছুদিনের মধ্যে বলা যায় না।

তবে এই বছরের প্রক্রিয়া দেখে বোঝা যাচ্ছে যে, সরকার প্রকৃত অর্থেই বদ্ধপরিকর দুর্নীতি দমন করার জন্য। সেই নিয়ম মেনেই চাকরির পরীক্ষায় নিযুক্ত হওয়ার জন্য প্রার্থীদের এবার আবেদন করতে হবে শুধুমাত্র অনলাইন এ। এছাড়াও, কোনও ধরনের রেফারেল বা দালালের সাহায্য নেয়া যাবে না। এমনকি পরীক্ষার জন্যও কোনও কোচিং সেন্টার বা বই ক্রেতা প্রয়োজন হবে না।

এই বছরের AP TET পরীক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া প্রার্থীদের কিছু গাইডলাইন মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই গাইডলাইনগুলো হল-

  • প্রথমে, আসল বিজ্ঞপ্তি পড়ে পরীক্ষার জন্য আবেদন করা উচিত।
  • অনলাইন পদ্ধতি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া।
  • অপরিচিত জায়গায় পরীক্ষা দেওয়ার হলে আগে থেকেই ভ্রমণের ব্যবস্থা করা উচিত।
  • পরীক্ষার সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি পত্র সঙ্গে রাখা।
  • সময় মতো পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়া।
  • পরীক্ষা হলে শান্ত মস্তিষ্কে প্রশ্নপত্র পড়ার চেষ্টা করা।
  • যে প্রশ্নের উত্তর জানা আছে শুধু সেগুলো আগে করা এবং পরে অন্য প্রশ্নের দিকে নজর দেওয়া।
  • খুব বেশি সময় ব্যয় না করে উত্তর দেওয়া।
  • পরীক্ষা শেষে উত্তরপত্র জমা দেওয়ার আগে একবার দেখে নেওয়া।

এই গাইডলাইন গুলো মেনে চললে AP TET পরীক্ষায় সফল হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।

পরীক্ষায় প্রস্তুতিতে যে বিষয় গুলো লিখে পড়তে হবে সেগুলো হল-

  • বাল শিক্ষার ইতিহাস
  • শিক্ষা মনোবিজ্ঞান ও শিশু উন্নয়ন
  • বাল বিদ্যা পদ্ধতি
  • পরিবেশ দীক্ষা
  • পরীক্ষা দ্বারা মূল্যায়ন
  • শিক্ষা পলিসি
  • দ্বিতীয়িক শিক্ষায় সংখ্যা ও সংখ্যা রেখা
  • দ্বিতীয়িক শিক্ষায় ভগ্নাংশ সংখ্যা ও দশমিক সংখ্যা
  • দ্বিতীয়িক শিক্ষায় বীজগণিত রাশি
  • দ্বিতীয়িক শিক্ষায় ত্রিকোনমিটি
  • দ্বিতীয়িক শিক্ষায় সমষ্টিমালা ও বীজ গণিত

এই বিষয়গুলো লিখে পড়া হলে পরীক্ষায় ভালো করা সম্ভব।

আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা পরীক্ষার আগে মনে রাখা প্রয়োজন-

  • সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল আত্মবিশ্বাস ধরে রাখা।
  • অতিরিক্ত চাপ বা উদ্বেগের মধ্যে না যাওয়া।
  • নিয়মিত পড়াশোনার পাশাপাশি সাপ্তাহিক মক টেস্ট দেওয়া।
  • সঠিক সময়ে ঘুমানো এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া।
  • পরীক্ষার দিনে শান্ত মস্তিষ্কে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়া।

এই বিষয় গুলো মেনে চললে পরীক্ষায় ভালো করা সম্ভব এবং চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।