গুড়ি পাড়বা: উৎসব ও তাৎপর্য




একটি উৎসবী রঙ্গিন আবহে মমতায় ভরা এই দিনটি আমাদের সমস্ত দুঃখ, কষ্টকে দূর করে আনন্দ ও আশা নিয়ে আসে।
গুড়ি পাড়বা, যা চৈত্র সংক্রান্তি নামেও পরিচিত, একটি উৎসব যা বসন্তের আগমনের আনন্দ উদযাপন করে। এটি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে পালন করা হয়, বিশেষ করে মহারাষ্ট্র, অন্ধ্র প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্নাটক এবং উত্তরপ্রদেশের কিছু অংশে।
গুড়ি পাড়বা শব্দটি দুটি শব্দ থেকে এসেছে: 'গুড়ি' অর্থ চিনি এবং 'পাড়বা' অর্থ উৎসব। এই দিনে গুড়ের ভর্তা বা মিষ্টি খাওয়া হয়, যা বসন্তের মিষ্টতার প্রতীক।
গুড়ি পাড়বার পুরাণে অনেক কাহিনী রয়েছে। একটি কাহিনী অনুসারে, এই দিনে भगवान ब्रह्मा ब्रह्মাণ্ডের সৃষ্টি করেছিলেন। আরেকটি কাহিনী বলে যে, এই দিনে भगवान विष्णু नृसिंह अवतार নিয়েいた।
গুড়ি পাড়বা উৎসবটি সকালে 'গুড়ি পাড়বা' নামক একটি আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান দিয়ে শুরু হয়। এই অনুষ্ঠানে, লোকেরা লাঠি বা কাঠি দিয়ে রঙিন এবং কাগজে মোড়া 'গুড়ি' নামক বল ছুড়ে দেয়। এটি नकारात्मক विचारों এবং অশুভ शक्तি থেকে মুক্তির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
গুড়ি পাড়বার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান হল 'रंगपंचमी'। এই দিনে, লোকেরা একে অপরের ওপর রঙিন পাউডার এবং জল ছুড়ে দেয়। এটি বসন্তের আনন্দ এবং उत्साह প্রকাশের এক মজাদার উপায়।
গুড়ি পাড়বা শুধুমাত্র একটি উৎসব নয়, এটি একটি সময়ও যখন লোকেরা তাদের বাড়ি ও মন্দির পরিষ্কার করে এবং नयी वसन्त ऋतु के लिए तैयारी করে। এটি পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় बिताने और रिश्तों को मजबूत করার অসরও।
এই উৎসব সমগ্র দেশে বিভিন্নভাবে পালন করা হয়। মহারাষ্ট্রে, গুড়ি পাড়বার সঙ্গে 'घागरी' নামক একটি বিশেষ পদ যুক্ত রয়েছে, যা আটা এবং गुड़ দিয়ে তৈরি করা হয়। অন্ধ্র প্রদেশে, উৎসবটি 'उगादि' নামে পরিচিত, এবং এটি नবवर्षের প্রথম দিন হিসেবে পালন করা হয়।
গুড়ি পাড়বা হল বসন্তের आगमन, নতুন শুরু এবং আনন্দ ও আশার প্রতীক। এটি একটি উৎসব যা আমাদের সকল অন্ধকারকে দূর করে আলোর একটি নতুন পথ দেখায়।