চণ্ডীগড়: এক শহরের হাজার রঙ




সুন্দর শহরের তালিকায় অন্যদের সঙ্গে চণ্ডীগড়ের স্থান অটল। বিশাল সবুজ বাগান, অত্যাধুনিক স্থাপত্য আর সুশৃঙ্খল রাস্তাগুলি চণ্ডীগড়কে অন্য শহর থেকে আলাদা করে। ভারতের প্রথম পরিকল্পিত শহর হওয়ায় এটির রয়েছে নিজস্ব একটা জাদু।
শহর পরিকল্পনার বিস্ময়
চণ্ডীগড়ের পরিকল্পনার কাজ করেন সুইস-ফরাসি স্থপতি লে করবিজিয়ে। তাঁর সৃষ্টির এই শহরটি একটা মাস্টারপিস, যা আধুনিক স্থাপত্যের চরম উদাহরণ। বৃক্ষসমৃদ্ধ রাজপথ, খোলা জায়গা আর অত্যাধুনিক ভবনগুলি সব মিলিয়ে চণ্ডীগড়কে অনন্য সুন্দর করে তোলে।
হরিয়ালির স্বর্গ
চণ্ডীগড়কে যথার্থভাবেই "হরিয়ালির শহর" বলা হয়। শহরের বিশাল অংশ জুড়ে আছে বাগান, পার্ক আর বৃক্ষসমূহ। এই সবুজের মাঝেই বাঁচতে পারাটা একটা স্বর্গীয় অভিজ্ঞতা। রোজ গার্ডেন, জাপানি গার্ডেন আর রক গার্ডেন এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়।
সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য
চণ্ডীগড় শুধু সুন্দরই নয়, এর আছে সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। শহরের স্থাপত্যে পঞ্জাব অঞ্চলের সাংস্কৃতিক প্রভাব স্পষ্ট। করবিজিয়ের রচনার মধ্যেও রয়েছে ভারতীয় স্থাপত্যশৈলীর ছাপ। চণ্ডীগড় মিউজিয়াম অ্যান্ড আর্ট গ্যালারি শহরের ইতিহাস আর সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সেরা জায়গা।
শপিং আর বিনোদন
শপিং প্রেমীদের জন্য চণ্ডীগড়ে রয়েছে অনেক কিছু। সেক্টর 17-এর জনপ্রিয় শপিং মল থেকে শুরু করে সুখনা লেকে বোটিং, চণ্ডীগড়ে বিনোদন আর শপিংয়ের অভাব নেই। সিটি সেন্ট্রাল লাইব্রেরিও শহরের একটা জনপ্রিয় স্থান।
খাদ্যশিল্পের স্বাদ
চণ্ডীগড়ে খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারেও অপূর্ব। এখানে পাঞ্জাবী খাবার থেকে আন্তর্জাতিক খাবারের দোকানের ভিড়। সুখনা লেকের ধারে অবস্থিত রুইসের মতো জায়গাগুলি সন্ধ্যাবেলা বেড়ানোর জন্য সেরা।
শহুরে জীবনের শান্তি
একটা মহানগরী হওয়ার পরেও চণ্ডীগড়ে শান্তির অনুভূতিটা আছে। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসেন এখানে জীবনের ব্যস্ততা থেকে একটু দূরে সুখের সময় কাটাতে। সেক্টর 32-এর শান্ত জল কিংবা রক গার্ডেনের শিল্পকর্ম, চণ্ডীগড়ে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে মন প্রশান্তি পাবে।
জীবন পরিবর্তনকারী অভিজ্ঞতা
চণ্ডীগড় সবার জন্যই একটা জীবন পরিবর্তনকারী অভিজ্ঞতা হতে পারে। শহরের সৌন্দর্য, শান্তি আর সুযোগসুবিধা মনের মধ্যে স্থায়ী ছাপ রেখে যায়। তাই যদি কখনও উত্তর ভারত ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন, তাহলে চণ্ডীগড়কে অবশ্যই তালিকায় রাখবেন।