চন্দ্রবাবু নাইডু: অন্ধ্রপ্রদেশের রূপকার




চন্দ্রবাবু নাইডু অন্ধ্রপ্রদেশ রাজনীতির একটি বিখ্যাত নাম, যিনি তাঁর অদম্য সংকল্প এবং রাজ্যের উন্নয়নে নিরলস প্রচেষ্টার জন্য পরিচিত। প্রায় তিন দশক ধরে তিনি রাজ্যের রাজনৈতিক আকাশে একটি উজ্জ্বল তারার মতো উজ্জ্বল হয়ে রয়েছেন, পূর্বে মুখ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান বিরোধী নেতা হিসাবে রাজ্যের ভবিষ্যতকে আকার দিয়েছেন।

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা:

চন্দ্রবাবু নাইডু ১৯৫০ সালের ২ এপ্রিল অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তূর জেলার নারাভারিপালেমে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনৈতিক বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

রাজনৈতিক যাত্রা:

নাইডু ১৯৭৮ সালে তেλουগুদেশম পার্টি (টিডিপি) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসাবে রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৮৩ সালে তিনি প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে নির্বাচিত হন এবং এন.টি. রামারাও সরকারে বিভিন্ন মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৫ সালে রামারাওয়ের মৃত্যুর পর তিনি টিডিপির সভাপতি এবং অন্ধ্রপ্রদেশের দশম মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাজ:

নাইডুর দুই মেয়াদে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে অন্ধ্রপ্রদেশ অভূতপূর্ব বিকাশের সাক্ষী ছিল। তিনি প্রশাসনিক সংস্কার, পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগের উপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • সাইবারাবাদ এবং মঙ্গলগিরি মতো আইটি হাবের বিকাশ
  • কৃষ্ণা নদী জলাশয় প্রকল্পের সম্প্রসারণ
  • আরোগ্যশ্রী স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্পের প্রবর্তন
  • ডিজিটাল শিক্ষা উদ্যোগগুলির বাস্তবায়ন

তাঁর সরকারের সময়কালে, অন্ধ্রপ্রদেশ দেশের অন্যতম উন্নত রাজ্য হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল।

বিরোধী দলের নেতা:

২০০৪ সালে নির্বাচনে পরাজয়ের পর নাইডু বিরোধী দলের নেতা হন। তিনি রাজ্যে টিডিপির পুনরুজ্জীবন এবং রাজ্য সরকারের নীতিগুলির বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর উত্থাপনের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম অব্যাহত রেখেছেন।

ব্যক্তিগত জীবন:

নাইডু ভুবনেশ্বরী নাইডুকে বিয়ে করেছেন, যিনি একজন কুচিপুড়ি নৃত্যশিল্পী। তাদের এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে।

উত্তরাধিকার:

চন্দ্রবাবু নাইডু অন্ধ্রপ্রদেশ রাজনীতিতে একটি শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব হিসাবে রয়ে যাবেন। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি, অধ্যবসায় এবং রাজ্যের প্রতি অঙ্গীকার তাঁকে অগণিত মানুষের প্রিয় করে তুলেছে। তাঁর উত্তরাধিকার বছরের পর বছর ধরে রাজ্যের রাজনৈতিক আলোচনাকে আকার দিতে থাকবে।