অলিম্পিক গেমস বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। চীন পাঁচবার এই মহা আসরের আয়োজন করেছে। ১৯৮৪ সালে সারাজেভো শীতকালীন অলিম্পিক, ২০০৮ সালে বেইজিং গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক, ২০১২ সালে লন্ডন গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক, ২০১৪ সালে সোচি শীতকালীন অলিম্পিক এবং ২০১৮ সালে পিওংচ্যাং শীতকালীন অলিম্পিক।
চীন অলিম্পিক গেমসে একটি সাফল্যের গল্প লিখেছে। দেশটি ১৯৮৪ সালে সারাজেভো শীতকালীন অলিম্পিকে তার প্রথম পদক জিতেছিল। তখন তাদের স্কিয়ার লিয়াং শিয়াও দে একটি রৌপ্য পদক জিতেছিলেন।
২০০৮ সালে বেইজিং গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে চীন সবচেয়ে বেশি সফলতা অর্জন করে। তারা ৫১টি স্বর্ণ পদকসহ মোট ১০০টি পদক জিতেছিল। এই পদকের সংখ্যা অলিম্পিক ইতিহাসে চীনের সবচেয়ে বেশি।
চীন ২০১২ সালে লন্ডন গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ৩৮টি স্বর্ণ পদকসহ মোট ৮৮টি পদক জিতেছিল। ২০১৪ সালে সোচি শীতকালীন অলিম্পিকে তারা ৯টি স্বর্ণ পদকসহ মোট ১৫টি পদক জিতেছিল। আর ২০১৮ সালে পিওংচ্যাং শীতকালীন অলিম্পিকে তারা সর্বমোট ৯টি পদক জিতেছিল।
চীনের অলিম্পিক সাফল্যের পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। দেশটির একটি শক্তিশালী ক্রীড়া ব্যবস্থা আছে, যা শীর্ষ ক্রীড়াবিদদের উন্নয়নে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করেছে। চীনের সরকারও অলিম্পিককে একটি জাতীয় গর্বের বিষয় হিসেবে দেখে এবং ক্রীড়াবিদদের সফলতার জন্য পুরস্কার দেয়।
চীনের অলিম্পিক বিরাটত্ব একটি অনুপ্রেরণাদায়ক গল্প। এটি দেখায় যে একটি দেশ কঠোর পরিশ্রম, দৃঢ় সংকল্প এবং সঠিক সমর্থনের মাধ্যমে কী অর্জন করতে পারে।