চমকপ্রদ বিষয়ঃ এই ঝাড়খণ্ড নামে কী আছে?




ঝাড়খণ্ড বলেই একে ঝাড়খণ্ড বলা হয়, তাই নয়। ঝাড়খণ্ড শব্দের একটি বিশেষত্ব আছে। জানেন কী সেই বিশেষত্বটি? ঝাড়খণ্ডের নামকরণ হয়েছে একটি গাছকে ঘিরে। সেই গাছটি হল শাল। ঝাড়খণ্ডে শাল গাছের প্রচুরতা রয়েছে। আর এই শাল গাছের রুক্ষ ছালকে ঝাড় বলা হয়। সেই থেকেই ঝাড়খণ্ড নামটি এসেছে। অর্থাৎ, ঝাড়খণ্ডের অর্থ হল "শাল গাছের দেশ"।
  • ঝাড়খণ্ডের অবস্থানঃ ঝাড়খণ্ড ভারতের পূর্বাঞ্চলের একটি রাজ্য। রাজধানী রাঁচি।
  • প্রাকৃতিক সম্পদঃ ঝাড়খণ্ড খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ। এখানে লোহা, তামা, ম্যাঙ্গানিজ এবং মাইকা পাওয়া যায়। রাজ্যটি তার জলপ্রপাত এবং পাহাড়ের জন্যও বিখ্যাত।
  • সাঁওতালী নৃত্যঃ সাঁওতালী নৃত্য ঝাড়খণ্ডের একটি ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য। এই নৃত্যটি ঐতিহ্যবাহী সাঁওতালী সঙ্গীতের তালে করা হয়।
  • রেশম উৎপাদনঃ ঝাড়খণ্ড রেশম উৎপাদনের জন্যও পরিচিত। এখানে উৎপাদিত তাসর রেশম বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত।
  • ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিঃ ঝাড়খণ্ডের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তিনি ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার(JMM) নেতা।
  • সেণ্ট জেভিয়ার্স স্কুলঃ রাঁচিতে অবস্থিত সেণ্ট জেভিয়ার্স স্কুল হল ঝাড়খণ্ডের একটি বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই স্কুলটি রেসিডেন্সিয়াল স্কুল হিসাবেও পরিচিত।
  • বিদ্রোহের ঐতিহ্যঃ ঝাড়খণ্ড তার বিদ্রোহের ঐতিহ্যের জন্যও পরিচিত। 1855 সালের সাঁওতাল বিদ্রোহ এবং 1857 সালের ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম এই রাজ্যের দুটি প্রধান বিদ্রোহ।