চীন সম্প্রতি তাইওয়ানকে ঘিরে একটি বৃহৎ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। এই মহড়ায় বিমানবাহী রণতরী, যুদ্ধ জাহাজ এবং জঙ্গি বিমান অংশ নিচ্ছে। এই মহড়া তাইওয়ান প্রণালীর ওপর চীনের সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শন করার লক্ষ্যে করা হয়েছে।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট ত্সাই ইং-ওয়েন এই মহড়াকে একটি আগ্রাসনমূলক পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, "চীন তাইওয়ানকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা ভয় পাব না। আমরা আমাদের দেশের রক্ষার জন্য যা করার তা করব।"
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই সামরিক মহড়ার নিন্দা জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, "চীনের এই মহড়া অস্থিতিশীলতার কারণ হতে পারে। এটি অঞ্চলের শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি স্বরূপ।"
চীন দাবি করে যে, তাইওয়ান তাদের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই তাদের তাইওয়ানকে পুনরায় দখল করার অধিকার রয়েছে। তবে তাইওয়ান নিজেকে একটি স্বাধীন দেশ বলে মনে করে।
তাইওয়ান প্রণালী একটি গুরুত্বপূর্ণ জলপথ। এটি জাহাজ পরিবহনের জন্য একটি প্রধান রুট। তাই এই মহড়া বিশ্ব বাণিজ্যের জন্যও হুমকি স্বরূপ।
তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের সামরিক মহড়া অঞ্চলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই মহড়া অঞ্চলের শান্তি এবং স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলতে পারে। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ এই মহড়াকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
তারা বলেন, চীন তাইওয়ানকে দেখাতে চায় যে, যদি তারা স্বাধীনতা ঘোষণা করে, তাহলে তাদের মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে হবে।
অন্য কিছু বিশ্লেষকের মতে, এই মহড়া চীনের একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়। তারা বলেন, চীন শুধুমাত্র তাদের সামরিক সক্ষমতা দেখাতে চায়।
যাই হোক না কেন, এই মহড়া তাইওয়ান প্রণালীতে অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি করেছে। এটি অঞ্চলে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের পক্ষে একটি চ্যালেঞ্জ।
চীন আশা করে যে, এই মহড়া তাইওয়ানকে ভয় দেখাবে এবং স্বাধীনতা ঘোষণা থেকে বিরত রাখবে। অন্যদিকে, তাইওয়ান এই মহড়াকে একটি আগ্রাসনমূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে এবং তারা তাদের দেশের রক্ষার জন্য যা করার তা করবে।
এই অবস্থা কীভাবে বিস্তার লাভ করবে তা বলা কঠিন। কিন্তু এক বিষয় স্পষ্ট, তাইওয়ান প্রণালী অঞ্চলের একটি উত্তপ্ত বিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং বলেছেন যে, তাইওয়ান পুনরায় দখল করা চীনের "মতামত"। তিনি আরও বলেছেন যে, চীন "যেকোনো উপায়" দ্বারা তাইওয়ানকে পুনরায় দখল করবে।
এই বক্তব্যগুলি চীনের একটি ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদী আবহাওয়ার প্রতিফলন। এই আবহাওয়া চীনের অর্থনৈতিক শক্তি এবং সামরিক সক্ষমতার বৃদ্ধির দ্বারা পরিচালিত।
এই জাতীয়তাবাদ তাইওয়ান প্রণালীতে অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। চীন যদি তাদের জাতীয়তাবাদী আবেগের কারণে তাইওয়ানে আক্রমণ করে, তাহলে এটি অঞ্চলে একটি বড় যুদ্ধের সূচনা করতে পারে।
এই মহড়া অঞ্চলের শান্তি এবং স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলতে পারে। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ এই মহড়াকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
এই মহড়া চীনের জাতীয়তাবাদের একটি প্রকাশও। এই জাতীয়তাবাদ তাইওয়ান প্রণালীতে অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
এই অবস্থা কীভাবে বিস্তার লাভ করবে তা বলা কঠিন। কিন্তু এক বিষয় স্পষ্ট, তাইওয়ান প্রণালী অঞ্চলের একটি উত্তপ্ত বিন্দুতে পরিণত হয়েছে।