চ্যাংপেং ঝাও: ক্রিপ্টোরাজার উত্থান ও পতনের গল্প




ক্রিপ্টোকারেন্সি শিল্পে চ্যাংপেং ঝাও বা "সিজেড" একটি সমার্থক নাম। তিনি Binance-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং CEO, বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ। ঝাওর জীবনযাত্রার গল্পটি ক্ষমতা, উত্সাহ এবং বিতর্কের একটি রোমাঞ্চকর মিশ্রণ।

তারতম্যের বীজ

ঝাও চীনের একটি গরিব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পরিবার তার অধ্যবসায় এবং শিক্ষার প্রতি প্রতিশ্রুতি দেখে বিস্মিত হয়েছিল। তিনি কম্পিউটার বিজ্ঞানে ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন এবং পরবর্তীকালে ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে কাজ শুরু করেছিলেন।

Binance-এর উত্থান

২০১৭ সালে, ঝাও Binance প্রতিষ্ঠা করেন। বাজারে থাকা অন্যান্য এক্সচেঞ্জগুলির তুলনায় এটি 낮ের ফি এবং উচ্চ ট্রেডিং ভলিউমের জন্য দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে। Binance বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ হয়ে উঠেছে, যার মাসিক ট্রেডিং ভলিউম শত শত বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

সিজেডের বিতর্ক

ঝাওর সাফল্য বিতর্ক ছাড়া নয়। তাকে তার এক্সচেঞ্জে মনি লন্ডারিং এবং হ্যাকিংয়ের সুযোগ দেওয়ার জন্য সমালোচনা করা হয়েছে। তিনি বাজারে হস্তক্ষেপ করার এবং তার প্ল্যাটফর্মের স্বচ্ছতা সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপনের জন্যও অভিযুক্ত হয়েছেন।

ব্যক্তিগত দিক

সিজেড তার অহংকার এবং বিত্তীয় সম্পদের জন্যও পরিচিত। তিনি নিজেকে একটি "সিরিয়াল উদ্যোক্তা" বলে অভিহিত করেন এবং তিনি ব্লকচেইন প্রযুক্তির প্রবক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়, কিন্তু তার নাম বহু প্রেমের গুজবের সাথে যুক্ত করা হয়েছে।

বর্তমান অবস্থা

Binance-এর বৃদ্ধি সত্ত্বেও, ঝাও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। এক্সচেঞ্জটি নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের তদন্তের মুখোমুখি হয়েছে এবং কিছু দেশে তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঝাওর নেতৃত্বও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, কারণ তিনি বিরোধীদের নীরব করার এবং সমালোচনাকে দমন করার চেষ্টা করেছেন।

ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

চ্যাংপেং ঝাওর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। তিনি ক্রিপ্টোকারেন্সি শিল্পে একটি শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব হিসাবে রয়ে গেছেন, কিন্তু তার এক্সচেঞ্জ এবং নিজের উপর মেঘ জমা হয়েছে। শিল্পের ভবিষ্যৎ এবং ঝাওর ভূমিকার উপর নজর রাখা আকর্ষণীয় হবে।