জগদীপ ধনখর
যে সকল ব্যক্তি মনে করেন যে, তাঁর আইনজ্ঞান ও প্রবল ব্যক্তিত্বের সমন্বয় তাঁকে রাজনীতিতে দূরে দাঁড়ানোর অনুমতি দেবে, তাঁদের কাছেই জগদীপ ধনখরের ক্যারিয়ার সবচেয়ে বেশি শিক্ষণীয়।
কুচবিহারের এক স্বনামধন্য জমিদার বংশের উত্তরসূরি ধনখর, জাতীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী হওয়ার আগে দীর্ঘদিন সফলতার সাথে আইনজীবী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এই সময়ে তিনি কিছু মামলার জন্য খুবই বিখ্যাত হয়ে ওঠেন, যেগুলিতে তিনি অত্যাচারিত ও দুর্বলদের পক্ষে কাজ করেছিলেন।
তবে ২০০২ সালে জাতীয় রাজনীতির প্ররোচনা তাঁকে ডাক দিল। তিনি বিজেপিতে যোগ দেন এবং পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি থেকে ১৪ তম লোকসভায় নির্বাচিত হন। এখান থেকেই তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের আসল শুরু।
ধনখরের বিশ্লেষণ করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তাঁর আইনজ্ঞান। এই জ্ঞান তাঁকে সংসদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সাহায্য করেছে। তিনি দক্ষ সংসদীয় কৌশলবিদ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন, যিনি প্রশ্নাবলি ও বিতর্কের সময় কার্যকরী এবং অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ হস্তক্ষেপ করতে পারেন।
ধনখরের আরেকটি সবল দিক তাঁর শক্তিশালী যোগাযোগ দক্ষতা। তিনি জনসভায় এবং মিডিয়ার সামনে খুবই কার্যকরী বক্তা। তাঁর বক্তৃতাগুলি সুসংগঠিত, যুক্তিসঙ্গত এবং প্রায়শই শ্রোতাদের অনুপ্রাণিত করে। তাঁর শক্তিশালী ব্যক্তিত্বও রাজনৈতিক মঞ্চে তাঁর পক্ষে দারুণ কাজ করে।
ধনখর যে কেবল একজন শক্তিশালী রাজনীতিবিদই নন, তিনি সততা এবং নীতিগততায় বিশ্বাসী। তিনি রাজনীতিতে অর্থের ভূমিকার সমালোচক এবং তিনি রাজনৈতিক জীবনে উচ্চতর মানের দাবি জানিয়েছেন।
তবে ধনখরও বিতর্ক থেকে দূরে থাকেননি। তিনি বিজেপির রাজনৈতিক বিরোধীদের সমালোচনা করার জন্য অত্যন্ত কটু ভাষা ব্যবহার করার জন্য কয়েকবার সমালোচিত হয়েছেন। কিছু সমালোচক তাঁর ব্যক্তিত্বকে মতামত প্রকাশ করার জন্য স্বেচ্ছাচারী হিসেবে অভিহিত করেছেন।
এই সমালোচনার পরও জগদীপ ধনখর একজন দৃঢ়পদ রাজনীতিবিদ, যিনি জাতীয় রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন অব্যাহত রেখেছেন। তাঁর আইনজ্ঞান, যোগাযোগ দক্ষতা এবং প্রবল ব্যক্তিত্ব তাঁকে রাজনৈতিক মঞ্চে একটি শক্তিশালী শক্তি হিসেবে প্রমাণিত করেছে।