জগদীপ ধনখড়




যে নামটি আজ শিরোনামে, সেই নামটি হলো জগদীপ ধনখড়। ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের স্থলাভিষিক্ত হিসাবে নির্বাচিত হওয়া, জগদীপ ধনখড় হলেন একজন বিশিষ্ট আইনজীবী, রাজনীতিবিদ এবং দ্বিতীয় নাগরিক যিনি রাজস্থান থেকে ভারতের রাষ্ট্রপতির পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রারম্ভিক জীবন এবং শিক্ষা


জগদীপ ধনখড়ের জন্ম ১৮ মে, ১৯৫১ সালে রাজস্থানের একটি কৃষক পরিবারে। তিনি রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এরপর তিনি প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং রাজস্থান হাইকোর্টে অনুশীলন করেন।

রাজনৈতিক কর্মজীবন


১৯৮৯ সালে, জগদীপ ধনখড় ভারতীয় জনতা পার্টিতে (বিজেপি) যোগ দেন। তিনি রাজস্থান বিধানসভার সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন এবং ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত অটল বিহারী বাজপেয়ীর সরকারে সহকারী মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব এবং গভর্নর হিসাবে


২০১৯ সালের মে মাসে জগদীপ ধনখড় কেন্দ্রীয় আইন ও বিচারমন্ত্রী নিযুক্ত হন। এই পদে তিনি সংবিধানের ১২৪তম সংশোধনী বিল, ২০১৯ পাস করার কৃতিত্বে ভূমিকা রাখেন, যা সমস্ত সংবিধানিক আদালতের জন্য বকেয়া মামলার সংখ্যা কমাতে সহায়তা করেছে। ২০২১ সালের জুলাই মাসে তাকে পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর নিযুক্ত করা হয়।

রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচন


আগস্ট, ২০২২ সালে জগদীপ ধনখড় রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হন। তিনি ২০২২ সালের ২৪ জুলাই তারিখে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

ব্যক্তিগত জীবন এবং আগ্রহ


জগদীপ ধনখড় একজন সাহিত্যপ্রেমিক এবং হিন্দু ধর্মের ভক্ত। তিনি একজন প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা এবং ক্রীড়া উত্সাহী। তাঁর স্ত্রীর নাম সুদেশ ধনখড় এবং তাঁদের দুই কন্যা আছে।

উত্তরাধিকার


জগদীপ ধনখড় একজন অভিজ্ঞ এবং সম্মানিত রাজনীতিবিদ, আইনজীবী এবং গভর্নর। রাষ্ট্রপতি হিসাবে তাঁর নির্বাচন ভারতীয় গণতন্ত্রের শক্তি এবং স্থিতিশীলতার প্রতিফলন। একজন রাজস্থানী হিসাবে তিনি রাজ্যের সম্মান বাড়িয়েছেন এবং ভারতের সর্বোচ্চ পদে নির্বাচিত হওয়া তাঁর যাত্রা অনুপ্রেরণাদায়ক। তিনি ভারতের সংবিধানের রক্ষক এবং জাতির একতার প্রতীক হিসাবে দেশকে সেবা করবেন বলে আশা করা যায়।