জগন মোহন রেড্ডি, আধুনিক অন্ধ্র প্রদেশের স্থপতি!




আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানব এমন একজন মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে, যিনি তাঁর নেতৃত্বে তাঁর রাজ্যকে এক নতুন দিকে নিয়ে গেছেন।

জগন মোহন রেড্ডি, ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এবং সভাপতি, ২019 সালে আন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তাঁর নির্বাচনী প্রচারের প্রধান প্রতিশ্রুতি ছিল রাজ্যের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতি।

তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করার পরপরই কিছু বড় কল্যাণমূলক কর্মসূচি शुरू करते हैं, যা রাজ্যের দরিদ্র ও দুর্বল অংশের মানুষের জীবনকে সত্যিই পরিবর্তন করেছে। তাঁর সবচেয়ে প্রশংসিত কর্মসূচিগুলির মধ্যে রয়েছে "নবরত্নalu", যা নয়টি সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মসূচির একটি সেট যা কৃষকদের, নারীদের, শিশুদের এবং অনগ্রসর জাতিগুলির মতো বিভিন্ন জনগোষ্ঠীকে আচ্ছাদন করে।

  • নীলা ডান্ডী: প্রকল্পটি নারীদের শিক্ষার অধিকারের জন্য সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রকল্পের আওতায় সরকার গরিব পরিবারের প্রতিটি মেয়ে শিক্ষার্থীকে প্রতি বছর 15,000 টাকা প্রদান করে।
  • র্যাতু বাঁধু: এই প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের জমির সঠিক মূল্য দেওয়া হয়।
  • জগনন্ন বাসা যোজনা: এই প্রকল্পের আওতায় গরিব পরিবারের মানুষদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়।

এছাড়াও, জগন মোহন রেড্ডির সরকার শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। তিনি প্রতিটি গ্রামে গ্রামীণ সচিবালয় তৈরি করার একটি উচ্চাভিলাষী প্রকল্পও शुरू করেছেন, যা সরকারি পরিষেবাগুলি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবে।

জগন মোহন রেড্ডির নেতৃত্বে আন্ধ্র প্রদেশ অভূতপূর্ব উন্নতি অর্জন করেছে। তাঁর কল্যাণমূলক কর্মসূচিগুলি রাজ্যের গরিব ও দুর্বল অংশের মানুষের জীবনকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করেছে। তাঁর অর্থনৈতিক উদ্যোগ রাজ্যে বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।

অসংখ্য চ্যালেঞ্জ ও বাধা সত্ত্বেও জগন মোহন রেড্ডি অন্ধ্র প্রদেশকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতির পথে পরিচালিত করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি একজন দূরদর্শী নেতা যিনি জনসেবার প্রতি সত্যিই নিবেদিত।

আজকের এই আলোচনা একটি আগামী সংখ্যায় ফিরিয়ে নেব। ততক্ষণ পর্যন্ত সুস্থ থাকুন, সুখী থাকুন। আপনাদের সকলের জীবনে সফলতা লাগুক। আল্লাহ হাফেজ।