জিডিএস নিয়োগ নিয়ে কিছু কথা




জিডিএস নিয়োগ নিয়ে এখন মানুষের মাঝে একটা ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সবাই যেন একটা আশায় রয়েছে যে এই নিয়োগের মাধ্যমে তার জীবন বদলে যাবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কি তাই? এই নিয়োগ নিয়ে এতটা আশা করাটা কি সত্যিই যুক্তিযুক্ত? আসুন, জিডিএস নিয়ে কিছু কথা বলি।
এটা ঠিক যে জিডিএস একটি সরকারি চাকরি এবং সরকারি চাকরির যেসব সুবিধা রয়েছে, তা এখানেও রয়েছে। কিন্তু এর পাশাপাশি এখানে কিছু নেগেটিভ দিকও রয়েছে, যেগুলো অনেকেই হয়তো জানেন না।
প্রথমত, জিডিএস একটি খুবই কম্পেটিটিভ নিয়োগ। প্রতিটি পদে আবেদন করেন হাজার হাজার লোক। এর ফলে নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
দ্বিতীয়ত, জিডিএস নিয়োগে খুবই বেশি সময় লাগে। আবেদন করার পর থেকে যোগদান করতে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়।
তৃতীয়ত, জিডিএস নিয়োগে অনেক অভিযোগ ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। অনেক সময়ই রেজাল্ট নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
এবার আসুন জিডিএস নিয়োগের সুবিধাগুলো নিয়ে কথা বলি।
এটা ঠিক যে জিডিএস একটি সরকারি চাকরি। সরকারি চাকরির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর স্থায়িত্ব। একবার চাকরি পেলে সহজে কেউ বাদ দিতে পারবে না। এর পাশাপাশি সরকারি চাকরিতে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধাও পাওয়া যায়, যেমন চিকিৎসা সুবিধা, ছুটি, পেনশন ইত্যাদি।
অবশ্য সব সরকারি চাকরির সব সুবিধা জিডিএস নিয়োগেও রয়েছে তা নয়। উদাহরণস্বরূপ, জিডিএস কর্মীদের পদোন্নতি পাওয়ার সুযোগ খুবই সীমিত। তাদের অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের মতো সুযোগ-সুবিধাও পাওয়া যায় না।
অতএব, জিডিএস নিয়োগ mengenai কিছু কথা বলা হলো। এখানে এতটা আশা করাটা বা মাতামাতি করাটা কি সত্যিই যুক্তিযুক্ত? সেটা আপনারাই ভেবে দেখুন।
তবে আমার মতে, জিডিএস নিয়োগ একটি মোটামুটি ভালো নিয়োগ। এটা সবাইকে দেওয়া হয় না। তাই এটা পেলে কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত। আর পেলেও যদি না পান, তাহলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। জীবনে এগিয়ে যাওয়ার অনেক পথ রয়েছে। জিডিএস নিয়োগের জন্য হতাশ হওয়ার থেকে সেই পথগুলো খুঁজে বের করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।