জাদুর পরশ, প্রিয় রংগোলি
"র্যং-গোলি" নাম শুনলেই যে মায়াময়তা মনে হয়। রংয়ের গোলা, আল্পনা, আঁকিবুঁকি।
আমাদের দেশে রংগোলি আঁকার প্রথা হাজার হাজার বছরের পুরানো। ঘরকন্না, আঙ্গিনা, মন্দির, মঠে সর্বত্রই বিশেষ দিনে একে দেওয়া হয়। শুধুমাত্র নান্দনিকতার জন্যই নয়, এটি একটি আচারও বটে। ঘরে রংগোলি আঁকা হলে লক্ষ্মী, সরস্বতী এঁরা খুশি হন বলে বিশ্বাস।
যদিও সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়েই রংগোলি আঁকার রীতি আছে, তবুও উত্তর ভারতের মহিলাদের রংগোলি আঁকার হাত বিশেষ ভালো। তাঁদের হাতে ফুঁটে ওঠে মায়াজালের মতো রংগোলী।
রংগোলি সাধারণত তৈরি করা হয় রঙিন পাউডার, অর্থাৎ আটার রং দিয়ে। রংগোলি আঁকার সময় প্রথমে মাঝ থেকে একটি বৃত্ত আঁকা হয়। তারপর সেই বৃত্তের চারপাশে বিভিন্ন রকমের নকশা আর আলপনা আঁকা হয়ে ওঠে। প্রধানত ফুল, পাখি, মাছ, শঙ্খ ইত্যাদি নকশায়ই রংগোলি আঁকা হয়।
কিন্তু সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত পছন্দমতোও নানা রকম নতুন নতুন নকশা আঁকা হয়। শুধু রঙিন পাউডার ছাড়াও, ফুলের পাপড়ি, চাল, দাল, এমনকি কাঁচের টুকু দিয়েও রংগোলি আঁকা হয়। কখনও কখনও রংগোলি আঁকার সময় তার মাঝখানে ছোট্ট একটা দীপ জ্বালিয়ে রাখা হয়। এটিও একপ্রকার আচার।
রংগোলি আঁকা সহজ কাজ নয়। এটি এমন একটি শিল্প যা অনেক অনুশীলন এবং ধৈর্যের প্রয়োজন। তবে একবার শিখে গেলে এটি একটি খুবই সন্তোষজনক এবং আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা হতে পারে। তাই আজ থেকেই শুরু হয়ে যান রংগোলি শেখার।