জানো হবু কনেরা, দু’হাতের কার্বাচৌথ মেহেদীতে কী ভাবে সংকেত দিয়ে চলেছে প্রিয়তম
আপনার বিয়ের অ্যালবামে কার্বাচৌথ আনন্দদান করবে এই বিশিষ্ট মেহেদী ডিজাইন।
কার্বাচৌথে স্বামীর মঙ্গল কামনা করে সাত রাশির কিংবদন্তি অনুসারে যখন হবু কনের হাতে সাতটি ফুল ফোটে, তখন হবু বউরা হাতে মেহেদী লাগান। হবু বরের নাম বা অন্তত হবু বরের প্রথম অক্ষরটিকে মেহেদীতে লুকিয়ে রাখার এই প্রথাটি এখনও জনপ্রিয় রয়েছে।
কার্বাচৌথের ঐতিহ্য অনুযায়ী, স্বামীর দীর্ঘায়ু এবং শুভকামনার জন্য মেয়েদেরকে উপবাস পালন করতে হয়। তবে সেই সঙ্গে তারা রাখেন সতেরো পাঁচের ব্রত। সেই সঙ্গে হাতে মেহেদী দিয়ে স্বামীর নাম বা অন্তত প্রথম অক্ষরটি লেখা হয়।
- ফুলের মেহেদী: মেহেদীতে ফুলের নকশা কন্যার প্রেম এবং তার স্বামীর জন্য তার আকাঙ্ক্ষাকে বোঝায়।
- পাখির মেহেদী: পাখির নকশা স্বাধীনতা এবং প্রেমের প্রতীক।
- তারার মেহেদী: তারার নকশা মেয়ের স্বামীর সফলতা এবং তার জন্য তার আশা-আকাঙ্ক্ষাকে বোঝায়।
- হৃদয়ের মেহেদী: হৃদয়ের নকশা ভালবাসা এবং অন্তরঙ্গতাকে প্রতীক করে।
কার্বাচৌথ উপলক্ষে হবু কনেরা শুধু স্বামীর নাম বা অক্ষর নয়, তাদের জীবনে স্বামীর ভূমিকার কথাও মেহেদীতে প্রকাশ করেন। তাই এবছর কার্বাচৌথে হবু কন্যাদের জন্য রয়েছে এমন কিছু মেহেদী ডিজাইন যাতে থাকছে স্বামীর নামের সঙ্গে সাংকেতিক অর্থও:
- সুরক্ষার মেহেদী: এই ডিজাইনে হবু কনের হাতে তার স্বামী যেন তাকে রক্ষা করছেন, তার ভূমিকা থাকে। এখানে মেহেদীর নকশায় মহিলাকে স্বামীর কোলের মধ্যে বা সুরক্ষার মধ্যে দেখানো হয়।
- আশীর্বাদের মেহেদী: হাত ও পায়ের মেহেদীতে মস্তকে আশীর্বাদ করার প্রতীকীও থাকে। এই মেহেদী ডিজাইনে মা হবু কনের মুখোমুখি বসে মেয়ের মাথায় আশীর্বাদ করছে।
- সঙ্গমের মেহেদী: হবু কনের হাতে মেহেদীতে হবু বরের হাতও রাখা হয়। এটি তাদের সুখী সংসার জীবনের প্রতীক। এখানে স্বামী বা হবু বরের হাতটি বউয়ের হাতের মধ্যে রাখা হয়।
- পরস্পরের হাত ধরা মেহেদী: এই মেহেদী ডিজাইনে দু’হাত পাশাপাশি আঁকা হয়। এটি তাদের মিল ও একসঙ্গে থাকার প্রতীক।
- পরস্পরের দিকে চাওয়া মেহেদী: এই মেহেদী ডিজাইনে দু’টি হাত পাশাপাশি আঁকা হয়, যেগুলির মধ্যে একটি আরেকটির দিকে চেয়ে থাকে। এটি হবু বর ও বউয়ের সম্পর্কের গভীরতা ও বন্ধনকে প্রতীক করে।
কার্বাচৌথের মেহেদী ডিজাইনগুলি শুধুমাত্র একটি সুন্দর উপাধি নয়, এগুলি স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসা এবং আত্মার বন্ধনের প্রতীকও।