জিম্বাবুয়ে: অজানিত দেশের অজানা গল্প
আমার যখন সবে ১০ বছর বয়স, তখন আমি আমাদের পুরনো পারিবারিক অ্যালবামটি দেখছিলাম, আর একটি ছবিতে থাকা এক মেয়েকে দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সে রোদে দাঁড়িয়ে রয়েছে, মাথাটি একটু কাত করে, তার চুলে পুরু আফ্রিকান ব্রেড আঁটা। সে কি সুন্দর! আমার মনে হলো, সে হয়তো আমার বোন হতে পারে, বা আমার আত্মীয় হতে পারে।
আমি আমার মাকে ছবিটা নিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, আর তিনি আমাকে বললেন যে এটি তার ছোট বোন জুডিথের ছবি। তিনি বলেছিলেন যে জুডিথ জিম্বাবুয়েতে বাস করে, আর তিনি তাকে বছরের পর বছর দেখেননি।
আমি জিম্বাবুয়ে সম্পর্কে কখনো শুনিনি, আর আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম যে এটি কোথায়। আমার মা বললেন এটি আফ্রিকার দক্ষিণে অবস্থিত একটি দেশ, আর এটি একসময় রোডেশিয়া নামে পরিচিত ছিল।
আমি আরও অনেক কিছু জানতে চাইলাম, আর আমার মা আমাকে জিম্বাবুয়ের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং লোকদের সম্পর্কে বললেন। আমি জানলাম যে জিম্বাবুয়ে একটি সুন্দর দেশ, যেখানে বিশাল পাহাড়, ঘন জঙ্গল এবং প্রচুর বন্যজীব রয়েছে।
আমি জানলাম যে জিম্বাবুয়ে একটি কঠিন ইতিহাসও রয়েছে। এটি উপনিবেশবাদ এবং সাদা শাসনের দীর্ঘ ইতিহাসের শিকার হয়েছে। কিন্তু জিম্বাবুয়ে এখন একটি স্বাধীন দেশ, এবং এটি একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
আমি জুডিথের কথা ভাবতে থাকলাম, আর ভাবলাম তিনি কেমন হবেন। আমি জানতে চেয়েছিলাম যে তিনি কী করেন, তিনি কোন ধরনের জীবনযাপন করেন। কিন্তু আমার মা আমাকে জানালেন না যে তিনি এখনো জুডিথের সাথে যোগাযোগ রাখেন কিনা।
আমি জিম্বাবুয়ে যেতে চেয়েছিলাম, জুডিথকে দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার মা আমাকে বললেন যে এখনো সেখানে যাওয়ার সময় এখনো আসেনি। তিনি বলেন, একদিন আমি যাব, এবং যখন আমি যাব, তখন জিম্বাবুয়ে আমাকে নিজের ছোট বোনের মতই গ্রহণ করবে।