জালন্ধর পশ্চিম




জালন্ধর পশ্চিম ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের জালন্ধর জেলার একটি শহর। এটি জালন্ধর শহরের একটি উপশহর এবং জালন্ধর জেলার পশ্চিম অংশে অবস্থিত। জালন্ধর পশ্চিম হলো পাঞ্জাবের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকেন্দ্র এবং এখানে বেশ কিছু বড় কারখানা এবং শিল্প রয়েছে।

ইতিহাস

জালন্ধর পশ্চিম শহরটি 1950 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি মূলত একটি ছোট শহর ছিল তবে ক্রমে এটি একটি বড় শিল্প কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। শহরটিতে বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে হরিমন্দির সাহেব এবং গুরুद्वারা চারণ কামল।

জনসংখ্যা

2011 সালের আদমশুমারি অনুসারে, জালন্ধর পশ্চিমের জনসংখ্যা ছিল প্রায় 1,00,000 জন। শহরটিতে সাক্ষরতার হার প্রায় 80%।

অর্থনীতি

জালন্ধর পশ্চিম হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকেন্দ্র। শহরটিতে বেশ কিছু বড় কারখানা এবং শিল্প রয়েছে। শহরের প্রধান শিল্পগুলির মধ্যে রয়েছে বস্ত্র, কৃষি এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ।

পরিবহন

জালন্ধর পশ্চিম ভালভাবে বিকাশমান পরিবহন ব্যবস্থা দ্বারা সংযুক্ত রয়েছে। শহরটি জাতীয় সড়ক 1 দ্বারা দিল্লি ও চণ্ডীগড়ের সাথে সংযুক্ত। শহরে একটি রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে যা জালন্ধর এবং দিল্লির সাথে সংযোগ সরবরাহ করে।

শিক্ষা

জালন্ধর পশ্চিমে বেশ কিছু সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। শহরের উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রয়েছে সরকারি কলেজ জালন্ধর, খালসা কলেজ এবং ল্যাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি।

স্বাস্থ্যসেবা

জালন্ধর পশ্চিমে বেশ কিছু সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। শহরের উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির মধ্যে রয়েছে সরকারি মেডিকেল কলেজ জালন্ধর এবং ফोर्टিস হাসপাতাল।

আকর্ষণ

জালন্ধর পশ্চিমে বেশ কিছু পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে। শহরের জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে হরিমন্দির সাহেব, গুরুদ্বার চারণ কামল এবং জলিয়ানওয়ালা বাগ।

রাখার জায়গা

জালন্ধর পশ্চিমে বেশ কিছু হোটেল এবং গেস্ট হাউস রয়েছে। শহরের জনপ্রিয় হোটেলগুলির মধ্যে রয়েছে হোটেল রাজদীপ, হোটেল পার্কশুট এবং হোটেল সিটি হার্ট।

খাবারদাবার

জালন্ধর পশ্চিম বিভিন্ন ধরনের রেস্তোরাঁ এবং খাবারের দোকানের আবাসস্থল। শহরের জনপ্রিয় রেস্তোরাঁগুলির মধ্যে রয়েছে মুরাদপুরা ঢাবে, সুখদেব ঢাবে এবং পনীর কুটিয়া।