জাস্টিন বিবারঃ একটি মিউজিক্যাল হার্টথ্রবের উত্থান
তার গানের মধুর সুর, যা কিশোরী মেয়েদের হূদয়ে ঝড় তুলেছে, তার চার্মিং মুখশ্রী, যা হাজার হাজার পোস্টারের সাজ হয়েছে, অথবা তার ডান্স মুভস, যা অনুকরণের জন্য বিশ্বজুড়ে অনুপ্রাণিত করেছে— জাস্টিন বিবার একটি ঘটনা। তিনি একজন মিউজিক্যাল হার্টথ্রব যিনি তার সংগীতের মাধ্যমে বিশ্বকে মাতিয়েছেন এবং তরুণ প্রজন্মের জন্য আইকন হয়ে উঠেছেন।
তার বিনম্র সূচনা
জেসন ড্রু বিবার ১ মার্চ, ১৯৯৪ সালে কানাডার অন্টারিওর স্ট্র্যাটফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন একক মা প্যাটি ম্যালেটের পুত্র। তিনি তার সৎপিতা জেরেমি বিবার দ্বারা বেড়ে ওঠেন। তিনি এক দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠেন এবং মাঝে মাঝে তাদের আশ্রয় নিতে হতো।
ইউটিউব তারকা
যখন জাস্টিন ১২ বছর বয়সী ছিলেন, তখন তিনি গিটার বাজানো শিখতে শুরু করেন। তিনি তার মায়ের বাসায় গান গাওয়ার ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে পোস্ট করতে শুরু করেন। তার ভিডিওগুলো দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং শীঘ্রই তিনি স্কুটার ব্রাউন নামক একজন ট্যালেন্ট ম্যানেজারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
আত্মপ্রকাশকারী অ্যালবাম
স্কুটার ব্রাউন জাস্টিনকে আটলান্টা, জর্জিয়ায় নিয়ে যান, যেখানে তিনি আশের এবং জাস্টিন টিমবারলেকের মতো বড় বড় শিল্পীদের সাথে কাজ করেন। ২০১০ সালে, জাস্টিন তার আত্মপ্রকাশকারী অ্যালবাম "মাই ওয়ার্ল্ড" প্রকাশ করেন। এটি মুক্তির প্রথম সপ্তাহে কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নাম্বার ওয়ান অ্যালবাম হয়।
বৈশ্বিক সুপারস্টার
জাস্টিন বিবারের আত্মপ্রকাশকারী অ্যালবামের সাফল্য তাকে একটি বৈশ্বিক সুপারস্টারে পরিণত করে। তিনি বিশ্ব জুড়ে সফর করেছেন, বেশ কয়েকটি স্টুডিও অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন এবং অনেক পুরষ্কার জিতেছেন। তিনি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী পপ তারকাদের একজন।
ব্যক্তিগত জীবন
জাস্টিনের ব্যক্তিগত জীবন বেশ আলোচিত হয়েছে। তিনি গায়িকা সেলেনা গোমেজের সাথে একটি বিস্তৃত অন-অফ সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। তিনি ২০১৮ সালে মডেল হেইলি বাল্ডউইনের সাথে বিয়ে করেন।
দাতব্য কাজ
জাস্টিন তার দাতব্য কাজের জন্যও পরিচিত। তিনি পেন্সিল মিশনসহ বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করেছেন। তিনি তার প্রভাব ব্যবহার করে সচেতনতা বাড়াতে এবং তরুণ প্রজন্মকে প্রভাবিত করতে সাহায্য করেন।
উত্তরাধিকার
জাস্টিন বিবার আমাদের সময়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী এবং সফল পপ তারকাদের একজন। তিনি তার সংগীত, তার চার্মিং মুখশ্রী এবং তার দাতব্য কাজের জন্য পরিচিত। তিনি একটি প্রজন্মের জন্য আইকন হয়ে উঠেছেন এবং তাদের প্রভাব আগামী বছরগুলোতেও চলতে থাকবে।