জয়শঙ্কর: ভারতের হাজার বছরের বিদেশনীতির পথচলা




ভারতের বর্তমান বিদেশমন্ত্রী ডঃ এস জয়শঙ্কর বিশ্ব রাজনীতিতে একজন পরম শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। তাঁর কূটনৈতিক কৌশল ও নির্ভীকতার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অত্যন্ত সমাদৃত।
ডঃ জয়শঙ্করের বিদেশনীতির সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য দিক হল তাঁর "বহুমেরুত্ব" চিন্তাধারা। তিনি বিশ্বাস করেন যে ভবিষ্যতের আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় কয়েকটি সুপারপাওয়ারের দ্বারা নয়, বরং বিভিন্ন শক্তির দ্বারা প্রভাবিত হবে। এই দৃষ্টিভঙ্গি ভারতকে বিশ্বের নতুন শক্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে কাজ করে।
বহুমেরুত্বের পাশাপাশি, জয়শঙ্কর একটি শক্তিশালী এবং স্বাধীন ভারতেরও সমর্থন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে ভারতকে অন্য কোনো দেশের চেয়ে নিজের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এই অবস্থানটি গণপ্রজাতান্ত্রিক ভারতে জাতীয়তাবাদ ও আত্মবিশ্বাসের উত্থানকে প্রতিফলিত করে।
জয়শঙ্করের বিদেশনীতির মূলনীতি হল "সবুজ কূটনীতি"। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং টেকসই উন্নয়নের মতো বিষয়গুলিতে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার পক্ষে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেন। তাঁর মতে, এই বিষয়গুলি মানবতার ভবিষ্যতের জন্য অপরিহার্য।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কে জয়শঙ্করের কৌশলকর অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক সহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক চুক্তিতে কাজ করেছেন। তাঁর জ্ঞান এবং বিচারবুদ্ধি ভারতকে বৈশ্বিক পর্যায়ে একটি শক্তিশালী এবং সম্মানিত খেলোয়াড় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে অনেক অবদান রেখেছে।
একজন দক্ষ কূটনীতিক ছাড়াও, ডঃ জয়শঙ্কর একজন সুলেখক এবং চিন্তাবিদ। তাঁর বই "দ্য ইন্ডিয়া ওয়ে: স্ট্র্যাটেজিস ফর এন আনসার্টেন ওয়ার্ল্ড" বহুলভাবে প্রশংসিত হয়েছে এবং এটি ভারতের বর্তমান বিদেশনীতির একটি গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।
সমগ্র, ডঃ এস জয়শঙ্কর একজন অসাধারণ ব্যক্তি যিনি ভারতীয় কূটনীতিতে নতুন দিগন্ত স্থাপন করছেন। তাঁর "ব্যক্তিত্ববাদ", "বাস্তববাদ" এবং "দূরদর্শিতা" ভারতকে বিশ্বের একটি শীর্ষস্থানীয় শক্তিতে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। তাঁর বিদেশনীতির লেগ্যাসি আসন্ন বছরগুলিতে ভারতের ভূমিকা এবং অবস্থানকে আকৃতি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।