ঝাঁসি




আমার প্রিয় ভারতের ইতিহাসে রানি ঝাঁসীর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে আছে। তিনি ছিলেন এক অসাধারণ মহিলা, যিনি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন এবং দেশের স্বাধীনতার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।

ঝাঁসীর জন্ম ১৮ নভেম্বর, ১৮২৮ সালে বেনারসের কাছে ভগীরথপুরে। তাঁর নাম ছিল লক্ষ্মীবাঈ। তিনি ছিলেন একজন মারাঠা যোদ্ধার কন্যা। তাঁর পিতার নাম মোরোপন্ত তাম্বে এবং মাতার নাম ভাগীরথী সাপরে।

লক্ষ্মীবাঈ ছিলেন একটি অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং সাহসী মেয়ে। তিনি ঘোড়ায় চড়তে এবং অস্ত্র চালাতে খুব পারদর্শী ছিলেন। তিনি সংস্কৃত, হিন্দি এবং ফার্সি ভাষায়ও পণ্ডিত ছিলেন।

১৮৪২ সালে লক্ষ্মীবাঈর বিয়ে হয় ঝাঁসির মহারাজা গঙ্গাধর রাও নেওলকরের সাথে। বিয়ের পর তাঁর নাম হয় রানী লক্ষ্মীবাঈ।

১৮৫৭ সালে ভারতের সিপাহী বিদ্রোহ শুরু হয়। রানী ঝাঁসীও এই বিদ্রোহে যোগ দেন। তিনি নিজের সৈন্যদল গঠন করেন এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন।

রানী ঝাঁসীর সাহস এবং বীরত্ব স্বীয়তঃই ছিল অসাধারণ। তিনি বেশ কয়েকটি যুদ্ধে অংশ নেন এবং প্রতিটি যুদ্ধেই তাঁর সেনারা ব্রিটিশদের পর্যুদস্ত করে।

১৮৫৮ সালের ১৭ জুন রানী ঝাঁসী ঝাঁসির রক্ষায় লড়াই করার সময় শহীদ হন। তাঁর মৃত্যুর খবর শুনে পুরো দেশ শোকাহত হয়।

রানী ঝাঁসীর স্মৃতি আজ এখনো আমাদের অনুপ্রাণিত করে। তিনি একজন অসাধারণ মহিলা ছিলেন, যিনি ভারতের স্বাধীনতার জন্য নিজের জীবন দিয়েছেন। আমরা তাঁর সাহস এবং বীরত্বকে কখনো ভুলব না।

  • রানী ঝাঁসীর বীরত্বের গল্প এখনো আজও মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।
  • তিনি আমাদের ইতিহাসের একজন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব।
  • রানী ঝাঁসীর মতো মহিলাদের অনুসরণ করা উচিত আমাদের।

জয় ঝাঁসি!