ট্রেন্ট বোল্ট




টাঁক ও ঘূর্ণনে দাপট দেখানো ট্রেন্ট বোল্ট হচ্ছেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের একজন অন্যতম সেরা পেস বোলার। সহজেই পেস তুলতে সক্ষম বোল্ট বলকে সুইং করার অসাধারন ক্ষমতা রাখেন। বলকে ছোড়ার পরে একেবারে সামান্য একটু বামে সরে দাঁড়ান তিনি, এবং এই সামান্যই তার বলকে অনেকখানি সুইং করে তোলে।
বোল্টের জন্ম নিউজিল্যান্ডের রোটোরুয়ায় ১৯৮৯ সালের ২২ জুলাই। তিনি পুকেকোহে কলেজে পড়াশোনা করেছেন, যেখানে তিনি ক্রিকেটে তার দক্ষতা প্রদর্শন করেন। তিনি অকল্যান্ডের হয়ে প্রথম-শ্রেণীতে অভিষেক করেছিলেন ২০০৭ সালে।
ক্ষিপ্র গতির বল ছোড়ার ক্ষমতা এবং সুইং করানোর দক্ষতার জন্য খুব তাড়াতাড়িই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ পেয়ে যান বোল্ট। তিনি ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের হয়ে টেস্ট অভিষেক করেছিলেন।
টেস্ট ক্রিকেটে বোল্টের অভিষেক ম্যাচটিই তার কেরিয়ারের অন্যতম স্মরণীয় ম্যাচ। তিনি এই ম্যাচে শুধুমাত্র ৪২ রান দিয়ে ৬টি উইকেট নিয়েছিলেন। ওই ম্যাচেই তার খেলা দেখে মুগ্ধ হয়ে যান অনেকে। এরপর টেস্ট, একদিনের আন্তর্জাতিক ও টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক, তিনটি ফরম্যাটেই নিউজিল্যান্ডের হয়ে নিজের দক্ষতা দেখিয়েছেন তিনি।
বোল্টের বল ছোড়ার একটা আলাদা স্টাইল আছে। তিনি বল ছোড়ার সময় হাত পেছনে নিয়ে আসেন, এর ফলে তিনি বলকে অনেকখানি সুইং করাতে সক্ষম হন। এছাড়াও তিনি তার ইন-সুইঙ্গার এবং আউট-সুইঙ্গার দুটোই অসাধারনভাবে ছোড়েন।
বোল্ট টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও একজন সফল বোলার। তিনি ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড দলের অন্যতম কী-প্লেয়ার ছিলেন। এই টুর্নামেন্টে তিনি সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন।
নিজের দক্ষতা এবং সফলতার জন্য বোল্ট অনেক পুরস্কার এবং সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। তিনি ২০১৫ সালে আইসিসি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বছরের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
একটি জিনিস যা বোল্টকে অন্যান্য বোলারদের থেকে আলাদা করে তোলে তা হল তার সহকর্মীদের প্রতি তার সমর্থন এবং দলের প্রতি তার আনুগত্য। তিনি সবসময় মাঠে তার সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করেন এবং তার দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করেন।
বোল্ট একজন অনুপ্রেরণাদায়ক ক্রিকেটার, যিনি সবসময়ই নিজেকে উন্নত করার এবং দলের জন্য শ্রেষ্ঠ প্রচেষ্টা করার চেষ্টা করেন। তিনি ভবিষ্যতের বছরগুলোতেও নিউজিল্যান্ডের হয়ে অনেক সাফল্য অর্জন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।