ভারতে সরকারের কড়া নজরদারির পর টেলিগ্রাম তার কিছু চ্যানেল ব্লক করে দিয়েছে। এটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কিছু মানুষ সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করছে, আবার কেউ কেউ একে স্বাধীনতার হরণ হিসেবে দেখছেন।
কী হয়েছে?
টেলিগ্রাম একটি জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ, যার 500 মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে। অ্যাপটি এনক্রিপ্টেড মেসেজিং এবং গোপনীয়তা বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য পরিচিত। যাইহোক, কিছু ব্যবহারকারী টেলিগ্রামে অশ্লীলতা, সহিংসতা এবং ঘৃণ্য বক্তব্যের মত বিষয়বস্তু শেয়ার করার জন্য অ্যাপটি ব্যবহার করছিল।
এর প্রতিক্রিয়ায় ভারত সরকার টেলিগ্রামের কিছু চ্যানেল ব্লক করে দিয়েছে। এটি তথ্য প্রযুক্তির (IT) আইনের অধীনে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশও দিয়েছে।
বিতর্ক
সরকারের এই সিদ্ধান্ত মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর আঘাত হানবে বলে অনেকে মনে করছেন। তাঁরা যুক্তি দেন যে টেলিগ্রাম একটি নিরাপদ এবং নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম, যা অনলাইনে স্বাধীন মতামত প্রকাশ করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যরা যুক্তি দেন যে সরকারের অনলাইনে অশ্লীলতা এবং ঘৃণ্য বক্তব্য নিয়ন্ত্রিত করার দায়িত্ব রয়েছে। তাঁরা নির্দেশ করেন যে টেলিগ্রামে অশ্লীলতা এবং ঘৃণ্য বক্তব্যের বিষয়বস্তু ঘৃণ্য এবং ক্ষতিকারক।
আগামী পদক্ষেপ
সরকারের এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বিতর্কটি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি অবশ্যই একটি জটিল বিষয়, যা সহজেই সমাধান করা যাবে না।
এই বিষয়ে আপনার কি মনে হয়? মতামত জানান আমাদের কমেন্ট বক্সে।