ঠাকুর গুরুচরণ সিংহঃ রবীন্দ্রনাথের প্রিয় বন্ধু




রবীন্দ্রনাথের জীবনে বন্ধুদের এক বিশেষ স্থান ছিল। এই বন্ধুদের মধ্যে অন্যতম হলেন ঠাকুর গুরুচরণ সিংহ। তারা দুজনেই ছিলেন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। তাদের বন্ধুত্বের গল্পটি খুবই মনোরম।

গুরুচরণ সিংহ ছিলেন পাঞ্জাবের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তিনি কলকাতায় আইন নিয়ে পড়াশোনা করতে আসেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাৎ হয় ট্যাগোর পরিবারে আয়োজিত একটি মিলনমেলায়। সেই আদরিণী মিলনমেলার পর আর শেষ ছিল না তাদের বন্ধুত্বের।

গুরুচরণ সিংহ এবং রবীন্দ্রনাথ উভয়েই ছিলেন দেশপ্রেমী। তাদের বন্ধুত্বের মূল ভিত্তি ছিল এই দেশপ্রেম। তারা দুজনেই ভারতের স্বাধীনতার জন্য কাজ করতে চেয়েছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ এবং গুরুচরণ সিংহের বন্ধুত্বের অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল সাহিত্য। দুজনেই ছিলেন সাহিত্যরসিক। তারা প্রায়ই সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করতেন। গুরুচরণ সিংহ রবীন্দ্রনাথের অনেক কবিতা ও গানের সুরকার হয়েছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ এবং গুরুচরণ সিংহের বন্ধুত্ব ছিল অটুট। তাদের বন্ধুত্বের গল্পটি আমাদের সবাইকে বন্ধুত্বের মূল্যবোধ সম্পর্কে মনে করিয়ে দেয়।

গুরুচরণ সিংহের কিছু অজানা তথ্য


  • গুরুচরণ সিংহ একজন অসাধারণ সুরকার ছিলেন। তিনি রবীন্দ্রনাথের অনেক কবিতা ও গানের সুর করেছিলেন।
  • তিনি ছিলেন একজন দেশপ্রেমী। তিনি ভারতের স্বাধীনতার জন্য কাজ করতে চেয়েছিলেন।
  • তিনি ছিলেন একজন দাতব্য ব্যক্তি। তিনি অনেক দাতব্য কাজে অর্থদান করেছিলেন।

গুরুচরণ সিংহ রবীন্দ্রনাথের জীবনে একজন বিশেষ বন্ধু ছিলেন। তাদের বন্ধুত্বের গল্পটি আমাদের সবাইকে বন্ধুত্বের মূল্যবোধ সম্পর্কে মনে করিয়ে দেয়।

আপনি কি জানেন?


  • রবীন্দ্রনাথ গুরুচরণ সিংহকে ঠাকুর ডাকতেন।
  • গুরুচরণ সিংহ রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন আশ্রম প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেছিলেন।

গুরুচরণ সিংহ একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন প্রতিভাবান সুরকার, একজন দেশপ্রেমী এবং একজন দাতব্য ব্যক্তি। তিনি রবীন্দ্রনাথের জীবনে একজন বিশেষ বন্ধু ছিলেন।