ঠিক কিভাবে নিথিন কামথ একজন ওয়েলথ ক্রিয়েটর হয়ে উঠলেন
নিথিন কামথ একজন ভারতীয় উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী এবং நிதி বিষয়ক প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক আর্থিক পরিষেবা সংস্থা জেরোধা-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। জেরোধা ভারতের অন্যতম বৃহত্তম ডিসকাউন্ট ব্রোকারেজ ফার্ম হিসাবে বিবেচিত হয়, যেটি রিটেইল এবং প্রাতিষ্ঠানিক উভয় বিনিয়োগকারীদের ব্রোকারেজ এবং বিনিয়োগ প্ল্যাটফর্ম পরিষেবা প্রদান করে।
নিথিন কামথ ১৯৭৯ সালে মহারাষ্ট্রের মুম্বাই শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মহারাষ্ট্রের পুনেতে পড়াশোনা করেন এবং পরবর্তীতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন একটি আইটি সংস্থায় একজন ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্ট হিসাবে।
কতিপয় বছর পর, নিথিন কামথ বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তিনি শেয়ার বাজারের গবেষণা শুরু করেন এবং শেয়ার বাজার নিয়ে নিজেকে শিক্ষিত করেন। কিছু সময় পর, তিনি তাঁর ভাই নিকহিল কামথের সাথে একটি বিনিয়োগ সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।
২০১০ সালে, নিথিন কামথ এবং তাঁর ভাই জেরোধা প্রতিষ্ঠা করেন। জেরোধা শুরুতে একটি স্বল্প-বিনিয়োগ প্ল্যাটফর্ম হিসাবে গড়ে উঠেছিল। সেই সময়, ভারতের ব্রোকারেজ শিল্পটি কিছুটা একচেটিয়া ছিল এবং রিটেইল বিনিয়োগকারীদের জন্য ব্রোকারেজ ফি খুব বেশি ছিল। জেরোধা কম ব্রোকারেজ এবং একটি ব্যবহারকারী-বান্ধব প্ল্যাটফর্ম অফার করে এই বাজারে বিপ্লব ঘটিয়েছিল।
জেরোধা দ্রুত বৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং ভারতের অন্যতম শীর্ষ ডিসকাউন্ট ব্রোকারেজ ফার্মে পরিণত হয়েছে। সংস্থাটির বর্তমানে ১.৫ মিলিয়নেরও বেশি রেজিস্টার্ড গ্রাহক রয়েছে। জেরোধার সাফল্য নিথিন কামথকে ভারতের অন্যতম সম্মানিত উদ্যোক্তা এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একজন করে তুলেছে।
নিথিন কামথ তাঁর বিনিয়োগ দর্শনের জন্যও পরিচিত। তিনি একটি সহজ এবং দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ পদ্ধতিতে বিশ্বাস করেন। তিনি মনে করেন যে বিনিয়োগকারীদের তাদের পোর্টফোলিওর বহুমুখীকরণ করা উচিত এবং উচ্চমানের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা উচিত। তিনি বিনিয়োগকারীদের তাদের আবেগ এবং ভিড়ের মানসিকতার অনুসরণ না করার উপদেশ দেন।
বিনিয়োগের পাশাপাশি নিথিন কামথ একটি সক্রিয় সমাজকর্মীও। তিনি কয়েকটি শিক্ষামূলক এবং সামাজিক সংস্থার সাথে জড়িত। তিনি তাঁর সম্পদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ দানশীলতায় ব্যয় করেন।
নিথিন কামথ একজন সফল উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী এবং সমাজকর্মী। তিনি ভারতের তরুণদের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস। তাঁর কাজ ভারতের আর্থিক পরিষেবা শিল্পকে রূপান্তরিত করেছে এবং বিনিয়োগকারীদের একটি নতুন প্রজন্মকে সৃষ্টি করেছে।