ঠার




আমাদের ছোটবেলায়, আমাদেরকে প্রায়ই শেখানো হত যে, “ঠার” জিনিসটা একটা খারাপ জিনিস। ঠার মানে মিথ্যে। মিথ্যে বললে নাকি খারাপ হয়। কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে আমি বুঝেছি যে, এটা এত সহজ না।

মিথ্যে কখনও কখনও ভালোর জন্য হতে পারে। কিছু মানুষের আবেগকে হতাহত না করার জন্য আমরা মিথ্যে বলি। কিছু মানুষকে বিপদ থেকে বাঁচানোর জন্য আমরা মিথ্যে বলি। এবং কখনও কখনও, আমরা নিজেকে রক্ষা করার জন্য মিথ্যে বলি।

অবশ্যই, সব মিথ্যে একই নয়। কিছু মিথ্যে ছোট এবং নিরীহ হয়। অন্য মিথ্যে বড় এবং ক্ষতিকারক হয়। মিথ্যে বলার আগে সবসময় পরিস্থিতি বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।

আমার মনে আছে, আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন আমার একটা প্রিয় পোষা বিড়াল ছিল। একদিন, আমার ছোট বোন বিড়ালটাকে পুরোদস্তুর বেদম মারল। আমার মা খুব রেগে গেলেন এবং আমার বোনকে বকা দিলেন। আমার বোন কাঁদতে শুরু করল এবং সবকিছু অস্বীকার করল। আমি জানতাম যে সে মিথ্যে বলছে, কিন্তু আমি তার জন্য মন খারাপ করলাম। আমি জানতাম যে সে বিপদে পড়েছে। তাই আমি আমার মাকে বলেছিলাম যে, আমিই বিড়ালটাকে মেরেছি।

আমার মা খুব রেগে গেলেন, কিন্তু আমি আমার বোনকে রক্ষা করেছিলাম। আমার মিথ্যে সেদিন আমার বোনকে বিপদ থেকে রক্ষা করেছিল।

বছরের পর বছর ধরে, আমি শিখেছি যে, সব মিথ্যে একই নয়। কিছু মিথ্যে ভালোর জন্য, কিছু মিথ্যে খারাপের জন্য। মিথ্যে বলার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে পরিস্থিতি বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। কখনও কখনও, মিথ্যে বলাই একমাত্র জিনিস যা আমরা করতে পারি।

আর তাই, পরের বার যখন আপনি মিথ্যে বলার কথা ভাবছেন, তখন দ্বিতীয়বার ভেবে দেখুন। কিভাবে আপনার মিথ্যে অন্যদের প্রভাবিত করবে তা বিবেচনা করুন। এবং সর্বদাই মনে রাখবেন যে, সব মিথ্যে একই নয়।

আমি জানি না আপনার জীবনে কোন অভিজ্ঞতা আছে যেখানে আপনি মিথ্যে বলতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু আমি আশা করি যে, আপনি আমার অভিজ্ঞতা থেকে কিছু শিখেছেন। এবং আমি আশা করি যে, পরের বার যখন আপনি মিথ্যে বলার কথা ভাববেন, তখন আপনি দ্বিতীয়বার ভাববেন।