ডোনাল্ড ট্রাম্প: বিশ্বের সবচেয়ে বিতর্কিত ব্যক্তি




ডোনাল্ড ট্রাম্প হলেন একজন ব্যক্তিত্ব যিনি নিজেই বিতর্ক এবং মতামতের একটি বিষয়। তিনি একজন ধনী ব্যবসায়ী, জনপ্রিয় টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব এবং 45তম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

প্রাথমিক জীবন এবং কর্মজীবন

ট্রাম্প 14 জুন, 1946 সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং হোয়ার্টন স্কুল অফ বিজনেস থেকে ডিগ্রি অর্জন করেন। স্নাতক হওয়ার পর, তিনি তার পরিবারের রিয়েল এস্টে ব্যবসায় যোগ দেন। 1970 এর দশকে, তিনি নিজের নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন, ট্রাম্প অর্গানাইজেশন, যা নিউ ইয়র্ক শহরসহ দেশ জুড়ে সম্পত্তি বিকাশে বিশেষজ্ঞ।

ট্রাম্প একজন সফল ব্যবসায়ী হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি দ্য অ্যাপ্রেন্টিস টেলিভিশন শোতে উপস্থাপক এবং সহ-প্রযোজক হিসাবেও জনপ্রিয়তা অর্জন করেন, যেখানে তিনি উদ্যোক্তাদের একটি দলকে ব্যবসায়িক কাজ সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দেন।

রাজনৈতিক কর্মজীবন

2015 সালে, ট্রাম্প রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন লাভ করেন এবং রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন। তিনি 20 জানুয়ারি, 2017 সালে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্পের মেয়াদ ব্যাপক বিতর্ক এবং মিশ্র প্রতিক্রিয়ার দ্বারা চিহ্নিত হয়েছে। তিনি ট্যাক্স সংস্কার, সরকারি নিয়ন্ত্রণ হ্রাস এবং মার্কিন সैन্য প্রত্যাহার সহ বিভিন্ন রক্ষণশীল নীতি বাস্তবায়ন করেছেন। তিনি অভিবাসন, বাণিজ্য এবং পররাষ্ট্র নীতির বিষয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন।

ব্যক্তিগত জীবন

ট্রাম্প তিনবার বিবাহ করেন। তিনটি বিয়ে থেকে তাঁর পাঁচটি সন্তান রয়েছে। তাঁর বর্তমান স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প একজন স্লোভেনিয়ান মডেল এবং ব্যবসায়ী।

ট্রাম্প একটি বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তাঁর সরাসরি অভিব্যক্তি এবং বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তিনি প্রশংসিত এবং সমালোচিত উভয়ই হয়েছেন। তাঁর সমর্থকরা তাঁর ব্যবসায়িক দক্ষতা এবং প্রতিষ্ঠানকে চ্যালেঞ্জ করার ইচ্ছার প্রশংসা করেন। তাঁর সমালোচকরা তাঁর নীতিগুলিকে এবং সংখ্যালঘুদের প্রতি তাঁর কটুক্তিপূর্ণ মন্তব্যগুলিকে সমালোচনা করেন।

ট্রাম্পের উত্তরাধিকার

ট্রাম্পের উত্তরাধিকারটি বছরের পর বছর ধরে বিতর্কের বিষয় হবে। তাঁর সমর্থকরা তাঁর অর্থনৈতিক নীতিগুলিকে এবং অবৈধ অভিবাসন মোকাবেলায় তাঁর কঠোর অবস্থানের প্রশংসা করেন। তাঁর সমালোচকরা তাঁর রাজনীতি এবং জনগণের বিভাজনের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

কেউ কেউ বিশ্বাস করে যে ট্রাম্প ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রপতিদের একজন হিসাবে স্মরণ করা হবে, অন্যরা বিশ্বাস করে যে তিনি একটি ক্ষণস্থায়ী ব্যক্তিত্ব ছিলেন যিনি মার্কিন ইতিহাসের উপর স্থায়ী প্রভাব ফেলেননি। শুধুমাত্র সময়ই বলতে পারবে যে ট্রাম্পের উত্তরাধিকার শেষ পর্যন্ত কী হবে।