যদি আপনি কখনও একটি ডেভিড লিঞ্চ চলচ্চিত্র দেখেছেন, তাহলে আপনি জানেন যে তিনি কিভাবে শরীরী এবং মানসিক উভয় স্তরে দর্শকদের মনকে উত্তেজিত করতে পারেন। তার ছবিগুলি প্রায়ই অন্ধকার, বাস্তব এবং তীব্র থাকে, তবে তাদের একটি কবিতামূলক এবং স্যুরিয়াল গুণও রয়েছে যা দর্শকদেরকে ঘন্টার পর ঘন্টা আচ্ছন্ন করে রাখে।
লিঞ্চের কিছু প্রাথমিক প্রভাবের মধ্যে রয়েছে ফ্রেডেরিক ফেলিনির স্যুরিয়ালিজম, লুইস বুনুয়েলের বিদ্রোহ এবং আলফ্রেড হিচককের সাসপেন্স।
লিঞ্চের কর্মজীবনের ব্রেকআউট মুহূর্তটি ছিল ১৯৭৭ সালের "ইরেজারহেড"। এটি একটি নিম্ন-বাজেটের সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্র যা একটি সন্তুষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং তার রহস্যময় মেয়েকে নিয়ে। এই চলচ্চিত্রটি তার অস্বাভাবিক দৃশ্যের জন্য সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছিল, যা প্রায়শই উদ্ভট এবং ভীতিজনক হিসাবে বর্ণনা করা হয়।
"ইরেজারহেড" এর পর লিঞ্চ পরিচালনা করেন অস্কার-মনোনীত "দি এলিফ্যান্ট ম্যান" (১৯৮০)।
আরও পরে, লিঞ্চ তার কাল্ট-ক্লাসিক টেলিভিশন সিরিজ "টুইন পিক্স" (১৯৯০-১৯৯১) এর জন্য সর্বাধিক পরিচিত হয়ে ওঠেন। এই সিরিজটি ওয়াশিংটনের একটি ছোট্ট শহরের কাহিনী অনুসরণ করে যখন তারা একটি স্কুলছাত্রীকে খুনের মামলার তদন্ত করে।
লিঞ্চের সাম্প্রতিক কাজগুলির মধ্যে রয়েছে "মালহল্যান্ড ড্রাইভ" (২০০১), "ইনল্যান্ড এম্পায়ার" (২০০৬) এবং "টুইন পিক্স: দ্য রিটার্ন" (২০১৭)।
ডেভিড লিঞ্চ একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা যিনি তার স্বতন্ত্র ভিশন এবং দর্শকদের মনকে উত্তেজিত করার ক্ষমতার জন্য পরিচিত। তার কাজগুলি কখনও কখনও রহস্যময় এবং বিভ্রান্তিকর হতে পারে, তবে তারা সবসময় উদ্দীপক এবং চিন্তা-উত্তেজক হয়।