ডেভিড লিঞ্চ: সবচেয়ে বেশি ভয় জাগানো স্বপ্নদ্রষ্টা




তাদের জন্য যারা আধুনিক সিনেমার অন্যতম প্রভাবশালী এবং উদ্ভাবনী আইকন সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী। আপনি যদি অদ্ভুত, বিষয়গত এবং ভয়ের পরিবেশ দিয়ে সিনেমার সীমানা সরানো একজন মহান ব্যক্তির গল্প শুনতে চান, তাহলে এটি আপনার জন্য নিখুঁত নিবন্ধ।
একজন প্রকৃত শিল্পী
ডেভিড লিঞ্চ 1946 সালে মন্টানায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই শিল্পে আগ্রহী ছিলেন, এবং 18 বছর বয়সে চিত্রকলা পড়ার জন্য ভার্জিনিয়ায় তিনি চলে যান। তবে, অঙ্কন ও চিত্রকলার প্রতি তার আবেগ সত্ত্বেও, লিঞ্চ সিনেমার দিকে আকৃষ্ট হন। তিনি বলেন, "আমি সিনেমার প্রতি আকর্ষিত হয়েছিলাম কারণ এটি আপনাকে বিভিন্ন জগতে যেতে দেয়।"
1960 ਦੇ দশকে, লিঞ্চ ফিলাডেলফিয়ার পেন্সিল্‌ভানিয়া একাডেমি অফ ফাইন আর্টসে চলে যান, যেখানে তিনি তাঁর কিংবদন্তি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র "ইরেইজারহেড" তৈরি করেন। এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি, একটি নতুন বাবার ভয়ের গল্প, সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত হয় এবং মধ্যরাত-শো এবং শিল্পে কলাত্মক চলচ্চিত্রের অন্য অনেক সিনেমার এহেন অনুষ্ঠানের প্রিয় হয়ে ওঠে।
স্বপ্নের মত চলচ্চিত্র নির্মাতা
1977 সালে, লিঞ্চ তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, "ইরেইজারহেড" মুক্তি দেন। এই চলচ্চিত্রটি স্বপ্নের মত, বিকৃত এবং উদ্বেগজনক, এবং সঙ্গে সঙ্গে এটি আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। এটি সিনেমার উপর লিঞ্চের স্বাক্ষরযুক্ত শৈলীর প্রথম দৃষ্টিভঙ্গি ছিল, যা অন্ধকার, বিকৃত চিত্র, অন্তর্নিহিত যৌনতা এবং বাস্তবতার অস্বাভাবিক অনুভূতির দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
লিঞ্চের ফিল্মোগ্রাফিতে কিছু কাল্ট ক্লাসিক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেমন "দ্য এলিফ্যান্ট ম্যান" (1980), "ব্লু ভেলভেট" (1986), "টুইন পিক্স" (1990), "মালহল্যান্ড ড্রাইভ" (2001) এবং "মুলহল্যান্ড ড্রাইভ" (2006) এবং "ইনল্যান্ড এম্পায়ার" (2006)। এই ছবিগুলি তাদের অস্বাভাবিক কাহিনী, বিশ্বের অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি এবং স্বপ্নের মত পরিবেশ দ্বারা যেমন দর্শকদের ভয় দেখায় তেমনি আকৃষ্টও করে।
অন্য আকাশের একজন দর্শক
লিঞ্চের সিনেমা প্রায়ই স্বপ্ন, ভয় এবং বাস্তবতার সীমা অন্বেষণ করে। তিনি বিশ্বাস করেন যে স্বপ্ন আমাদের অবচেতন মনের দরজা খুলতে পারে এবং সেখানে আমরা আমাদের গভীরতম ভয় এবং আকাঙ্ক্ষাগুলির সাথে মুখোমুখি হতে পারি।
লিঞ্চ বলেন, "স্বপ্ন হল অন্য আকাশের একটি দরজা, এবং আমি সবসময় আশ্চর্য হয়ে ভেবেছি যে আমরা সেই দরজা দিয়ে কীভাবে যাব।" তিনি আরো বলেন, "আমি মনে করি আমাদের স্বপ্ন এমন একটি জিনিস যা আমরা অনেক বেশি আনন্দ নেওয়া উচিত, কারণ তারা আমাদের সম্পর্কে অনেক কিছু শেখাতে পারে।"
একজন মূল্যবান শিল্পী
ডেভিড লিঞ্চ একজন একক প্রকৃতির এবং অবিশ্বাস্য শিল্পী যিনি আধুনিক সিনেমার চেহারা বদলে দিয়েছেন। তাঁর চলচ্চিত্রগুলি তাদের অন্ধকার, উদ্বেগজনক পরিবেশ এবং প্রায়ই ব্যাখ্যায় অসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য বিখ্যাত। তবে, এই গুণগুলিই তাদের এত আকর্ষণীয় এবং দর্শকদের কল্পনার জগতে নিয়ে যায়।
লিঞ্চ প্রকৃত শিল্পীদের জন্য একজন উদাহরণ, যারা সীমানা সরানোর এবং আমাদের বাস্তবতার প্রকৃতি সম্পর্কে প্রশ্ন তোলার জন্য প্রস্তুত। তাঁর ছবিগুলি আমাদের ভয় দেখায়, আমাদের চিন্তিত করে এবং আমাদের কল্পনাকে উদ্দীপিত করে। তিনি একজন মূল্যবান শিল্পী যিনি অবশ্যই সিনেমার ইতিহাসে তাঁর স্থান অর্জন করেছেন।