ড্যারিল মিচেল: ক্রিকেটের নিউজিল্যান্ডের গুপ্তধন
ব্যাটের হাতে বল এলে অর্ধশতক নিশ্চিত। মারনীতি কিংবা কৌশলই বলুন, ড্যারিল মিচেলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার যেন এই সূত্রে গড়ে ওঠা। নিউজিল্যান্ডের এই ব্যাটসম্যান ক্রিকেটের সব ফরম্যাটেই সমান দাপটে খেলেন। তার ব্যাটিং শৈলীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হল তার রান সংগ্রহের ধারাবাহিকতা।
মিচেলের ক্রিকেট জীবন ξεκινেছে 2015 সালে। তখন তিনি নিউজিল্যান্ড 'এ' দলের হয়ে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নামেন। পরের বছর তাকে নিউজিল্যান্ডের জাতীয় দলে ডাকা হয়। তারপর থেকেই নিউজিল্যান্ড দল অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে ওঠেন তিনি।
টেস্টে মিচেলের ব্যাটিং গড় 44। এটা নিউজিল্যান্ডের বর্তমান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। একদিনের ম্যাচে তার গড় 39 এবং টি-টোয়েন্টিতে 27। এই তিন ফরম্যাট মিলিয়ে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে শতরানের সংখ্যা 12 এবং অর্ধশতরানের সংখ্যা 28।
মিচেলের আরেকটি উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব হল তার সব ধরনের কন্ডিশনে সফলতা। নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া মাঠ হোক আর ইংল্যান্ডের সুইং বান্ধব পিচ, সব জায়গাতেই তিনি দাপটে ব্যাটিং করেছেন।
নিউজিল্যান্ডের বর্তমান দলে মিচেলের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি মাঝের সারিতে দলকে স্থিতিশীলতা দেন এবং নিচের দিকের ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে দীর্ঘ অংশীদারিত্ব গড়ে তোলেন। তার কারণে নিউজিল্যান্ডের একাদশের শক্তি বেড়েছে।
একটি সাক্ষাৎকারে মিচেল বলেছিলেন, "আমি সবসময়ই দলের জয়ের জন্য লড়াই করতে চাই। আমি জানি আমার ব্যাটিং দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমি চেষ্টা করি সবসময় নিজের সেরাটা দিতে।"
মিচেলের ব্যাটিং শৈলীতে কিছুটা ব্রায়ান লারার ছায়া আছে। ব্যাটিংয়ের সময় তার দেহভাষা এবং স্ট্রোক প্লেয়িং লারার মতোই পর্যবেক্ষণ করা যায়। তবে মিচেল নিজেকে অনন্য ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ়।
এখনো তরুণ বয়সে মিচেল অনেক কিছুই অর্জন করে ফেলেছেন। তিনি অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে আরও ভয়ংকর ব্যাটসম্যান হয়ে ওঠবেন বলে আশা করা যায়। নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ একদিন ড্যারিল মিচেলের হাতেই।