উত্তর কন্নড়ের গিরিদুর্গে জন্ম নেওয়া এই নদীটি কর্ণাটক এবং অন্ধ্র প্রদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গুজরাটের কচ্ছ উপসাগরে মিলিত হয়। পুণ্যবান নদী হিসাবে পূজিত, তুঙ্গভদ্রা প্রেম, ভক্তি এবং সাহসের প্রতীক।
তুঙ্গভদ্রা নামটি দুটি শব্দের সংমিশ্রণ: "তুঙ্গা" এবং "ভদ্রা"। তুঙ্গা নদী শিবমগ্গা থেকে উৎপন্ন হয়ে তুঙ্গভদ্রা নদীর সাথে মিলিত হয়েছিল, যখন ভদ্রা নদী চিকমাগলুর থেকে উৎপন্ন হয়ে তুঙ্গভদ্রা নদীতে মিশে গেছে। এই দুই নদীর মিলনের ফলে তুঙ্গভদ্রা গঠিত হয়েছে।
তুঙ্গভদ্রা নদী ভারতের ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি বিজয়নগর সাম্রাজ্যের রাজধানী হাম্পিকে পানি সরবরাহ করত। হাম্পির রাজাদের কর্তৃক তুঙ্গভদ্রা নদীর তীরে নির্মিত বাঁধগুলি, যা স্থানীয়ভাবে "অঙ্কুট" নামে পরিচিত, ভারতীয় স্থাপত্যশৈলী এবং প্রকৌশল দক্ষতার চমৎকার উদাহরণ।
প্রকৃতিতে তুঙ্গভদ্রা একটি আশ্চর্যজনক দৃশ্য। নদীর সমৃদ্ধ বন্যজীবন, সুন্দর জলপ্রপাত এবং সবুজ উপত্যকাগুলি প্রকৃতিপ্রেমী এবং পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয়।
তুঙ্গভদ্রা শুধুমাত্র একটি নদী নয়, এটি গুজরাটের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং পরিবেশের প্রতীক। নদীর গর্জন গুজরাটের গৌরবোজ্জ্বল অতীতের কথা বলে, এবং এর তরঙ্গবাহিত জল ভবিষ্যতের উজ্জ্বলতা বয়ে নিয়ে আসে। তাই আমরা আসুন তুঙ্গভদ্রাকে রক্ষা করি এবং এর ঐতিহ্যকে আগামী প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করি।