তৃত্বীয়দিনে কল্পাচারে অমিত্রাক্ষরা আরাধ্যা উমা´লসিতা বিধানম্।
(বৈষ্ণবতন্ত্র)
সরস্বতী সাদা শাড়ি পরে এক হাতে বেণু ও অপর হাতে প্রসাদ নিয়ে মকরাসনে আরোহণ করে তৃতীয় দিনে অবস্থিত হন।
যাচ অর্থ কোন কাজ করা। অর্থাৎ অক্ষর পরত্যয় করা। আর যা স্বতন্ত্র যাচ সেই অক্ষরকেই অমিত্র বলে। এই অমিত্র অন্তে সমূদ্রদেবত যুক্ত অমিত্রাক্ষরমাহিমাকে বিবৃত করেছেন। “যঃ পঠতি মম নাট্যম জপতি যস্য চেতসি।
অমিত্র যঃ কুরুতে নিত্যং তস্মৈ নমো নমোস্তুতে।।”
অমিত্র যার শ্রবণে কানে এসেছে বা অমিত্র যার চিত্তে জপ করছেন এমন ব্যক্তিকে দাসীভাব দ্বারা নমস্কার করব।
এই অমিত্রাক্ষর যে আর কিছু নয় অমিত্রাক্ষর করলে যে নিয়ম সেটাই এই কল্পাচারের নিয়ম। অক্ষরকে বিকৃত করে ভারতাট্টহাস্য ধ্বনি করে এই যে অক্ষরদোষ তা নির্মূল অর্থাৎ কল্পাচারের দ্বারা তা নিরসন করা হয়। “শ্রীচন্দ্রঘণ্টা শুভদায়িনী বিঘ্নবিধ্বংসিনী।
রবিবারে যথা নিত্যং প্রসন্না বরদায়িনী।।”
তৃতীয় দিনে চন্দ্রঘণ্টা মূর্তিরূপে অবস্থিত হন। চন্দ্রমাকে ঘণ্টা বলে এবং ঘণ্টার ধ্বনি মঙ্গলময়। সুতরাং চন্দ্রঘণ্টারূপিণী মূর্তি মঙ্গলময়াও বটে। বিঘ্নবিধ্বংসিনী অর্থাৎ কোনও কাজে বাধা এলে তাকে দূর করে বর দানকারীণী।
রবিবার দিনটি সূর্যের দিন। সূর্য আলো ও জ্ঞানের প্রতীক। এই দিনটি সরস্বতীর আরাধনায় উৎসর্গ করে কল্পাচার করলে সরস্বতী অত্যন্ত তুষ্ট হন।
We use cookies and 3rd party services to recognize visitors, target ads and analyze site traffic.
By using this site you agree to this Privacy Policy.
Learn how to clear cookies here