তাপ ঢেউয়ের আঘাতে জীবন কতটা দূর্বিসহ হতে পারে




তাপের তীব্রতা ঝেঁটিয়ে তুলেছে দেশজুড়ে। দাবদাহের দিনে এলোপাতাড়ি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে তাপ-সমস্যা নিয়ে। ক্ষেত্রবিদরা বলছেন তাপ ঢেউয়ের কারণে এ যাবৎ প্রায় ৬০ জনেরও বেশি মৃত্যু হয়েছে। তীব্র রোদের কারণে দিনে বেড়িয়ে পড়াই কঠিন। বেশিরভাগ মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে অফিস বা অন্য জরুরি কাজে।
এই আবহাওয়ার কারণে যে প্রথমে ঝুঁকিতে রয়েছে তারা হল শিশু, বয়োজ্যেষ্ঠ ও দরিদ্র শ্রেণির মানুষ। এই তাপের সমস্যা সমাজের নিম্নস্তরের মানুষকেই বেশি আক্রান্ত করে।
তাপ ঢেউয়ের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ও কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটছে। কাজে মনোযোগ আনা বা সেভাবে মন দিয়ে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। রাস্তায় চলাচলই যেন দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার রোদে এতটাই দাবদাহ যে হাসপাতাল ও শ্মশানেও ক্রমাগত রোগী ও মৃতদেহ আসছে।
তাপের এই দাবদাহ থেকে বাঁচতে আমাদের কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সকালের শীতলতার মধ্যে বেরিয়ে পড়া। দুপুরের রোদ এড়ানোর জন্য সে সময় ঘরে অবস্থান করা উচিত। পানীশূন্যতার সমস্যা দেখা দেওয়া যাতে না দেয় সেজন্য প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। নরম পানীয় এড়িয়ে স্যালাইন বা ফলের রস খেতে হবে।
তাপ ঢেউয়ের এই দুর্দিনে খাবারদাবারের ব্যাপারেও সতর্ক হতে হবে। এ সময় হজমে ভারী খাবার খাওয়া উচিত নয়। বরং হালকা খাবার যেমন ডাবের পানি, ফল ইত্যাদি খাওয়া ভাল। গরমের কারণে রাস্তায় বিক্রি করা খাবার এড়িয়ে দূরে থাকতে হবে।
তাপ ঢেউয়ের প্রকোপ কমানোর জন্য এসব পদক্ষেপের পাশাপাশি সরকারেরও উচিত কিছু ব্যবস্থা নেওয়া। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তাপ ঢেউয়ের কারণে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য আশ্রয়স্থলের ব্যবস্থা করা। এছাড়া অসহায় মানুষদের জন্য ঘরে ঘরে খাবার সরবরাহ ও অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। তাপ ঢেউ থেকে বাঁচার উপায় নিয়ে সরকারি প্রচারণা চালানো দরকার। বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও এসব পদক্ষেপে সরকারকে সহযোগিতা করা উচিত।