তুম্বাড়




ওয়েবসিরিজের দুনিয়ায় সে এখন অতি পরিচিত মুখ। রাধিকা মদন। অংশুমান খুরানার বিপরীতে ‘পাতাল লোক’ সিরিজে তাঁর অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছে। ঠিক যেমন প্রশংসিত হয়েছিল রাহি অনিল বার্বের ‘তুম্বাড়’ ছবিতে তাঁর।

মুক্তির চার বছর পর আবার নতুন করে হলে ফিরছে সেই ‘তুম্বাড়’। এবারও পর্দায় থাকছেন রাধিকা। একটি ভয়াবহ অভিশাপের গল্প, জনশ্রুতি আর লোভী মানুষদের কর্মফলের গল্প নিয়ে তৈরি ছবিটি।

তুম্বাড়ের কিংবদন্তি ভয়ঙ্কর, লোভী মানুষের জন্য একটি উপদেষ্টা কথা, একটি অশুভ শক্তির কথা, একটি অভিশাপের কথা। কবে? 19 শতকের ঘটনা। তুম্বাড় গ্রামে একটি জমিদার পরিবারের গল্প।

জমিদার প্রধান সদাশিব (হরিশ খান্না) অত্যন্ত লোভী। পিতৃপুরুষের জমিতে লুকিয়ে রাখা সম্পদ খোঁজার জন্য জল কোপানোর কিছু ভাগ্যবান পুরুষকে তিনি দাসত্বে নিয়োগ করেছিলেন। তাঁদের চোখ বেঁধে রেখে কাজ করাতেন। এমনকি কাজের শেষে তাঁদের হত্যাও করতেন। কিন্তু অমর্ত্য (সোহম শাহ) জানেন তাঁর পিতা কী করছেন। তিনি অমর্ত্যকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা কর। কিন্তু ব্যর্থ হন। অপরাধে অপরাধ যুক্ত হতে থাকে। এই অপরাধের ফল তাঁদের আসতে আর বেশি দেরি হয় না। তুম্বাড় পুজোর আগে তাঁদের বংশ ধ্বংসের আশঙ্কা প্রকাশ করেন এক তান্ত্রিক। সদাশিব বাঁচার জন্য একমাত্র উপায় হাস্তারকে খুশি করা। কে সে হাস্তার? তুম্বাড় গ্রামের লোকশ্রুতি অনুযায়ী, তিনি এক অসুর। ভগবান ব্রহ্মার কোপে তিনি তুম্বাড়ে অন্তরধান হন। তাঁর প্রথম সন্তানই হাস্তার। সে চিরকাল ক্ষুধার্ত থাকে। সদাশিব প্রথমে হাস্তারের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু এরপর আবারও লোভ তাঁকে সারা যায়। সে এবার হাস্তারের সঞ্চিত সম্পদ লুকিয়ে নেওয়ার কথা ভাবেন। তাঁকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়। তাঁর বংশ ধ্বংস হয়। কেবল বেঁচে থাকেন অমর্ত্যর স্ত্রী কমলা (রাধিকা)। শাশুড়ির ভয়াবহ শাস্তির কারণে তাঁর সন্তান হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই নেই।

তারপর? অনেক বছর পর, অমর্ত্যর নাতির স্ত্রী যমুনা গর্ভবতী হন। অনেকদিন পরে তাঁর ঘরে জন্ম হয় পুরুষ সন্তানের। বংশধারা রক্ষা পায়। কিন্তু সেই সঙ্গে শুরু হয় নতুন বিপদ। হাস্তারের ক্ষুধা তখনও নিবৃত্ত হয়নি। সে তার হারানো সম্পদ ফেরত চায়।

তুম্বাড় মূলত লোভীর জন্য একটি উপদেশের কথা। লোভ করলে মানুষ কী করতে পারে, কী শাস্তি পেতে পারে, তারই এক গল্প.