তামিলিসাই সাউন্ডরাজন




তামিলিসাই সাউন্ডরাজন, যিনি তামিলিসাই সুলন্দরাজন নামেও পরিচিত, একজন দক্ষ ভারতীয় রাজনীতিবিদ যিনি বর্তমানে তেলেঙ্গানার গভর্নর হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি তামিলনাড়ুর সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এম.জি. রামচন্দ্রনের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এবং তার রাজনৈতিক দল অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাবিড় মুন্নেত্র কাজগমের (এআইএডিএমকে) সদস্য।
প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা:
তামিলিসাই সাউন্ডরাজনের জন্ম তামিলনাড়ুর কুম্বকোনামে। তিনি মাদুরাই মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিৎসাবিদ্যায় স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তারপর তিনি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক হিসাবে কাজ করেছেন।
রাজনৈতিক কর্মজীবন:
তামিলিসাই সাউন্ডরাজন 2000 সালে অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাবিড় মুন্নেত্র কাজগমে (এআইএডিএমকে) যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি তাড়াতাড়ি দলের মধ্যে উঠে এসেছিলেন এবং 2001 সালে একসাথে জাতীয় নির্বাচন এবং রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি উভয় নির্বাচনেই জিতেছিলেন এবং রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
তাঁর অবদান:
তার রাজনৈতিক কর্মজীবনের সময়, তামিলিসাই সাউন্ডরাজন স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং মহিলা ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে তাঁর কাজের জন্য পরিচিত ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সমাজকল্যাণ কর্মসূচিও শুরু করেছিলেন এবং রাজ্যে স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করার জন্য নিরলস কাজ করেছিলেন।
গভর্নর হিসেবে কর্মজীবন:
2019 সালে, তামিলিসাই সাউন্ডরাজনকে তেলেঙ্গানার গভর্নর হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। তিনি রাজ্যের প্রথম মহিলা গভর্নর। গভর্নর হিসেবে তিনি রাজ্যের সরকার এবং জনগণের মধ্যে একটি শক্তিশালী বন্ধন গড়ে তোলার জন্য কাজ করেছেন। তিনি রাজ্যের উন্নয়ন এবং অগ্রগতির জন্যও প্রচার চালিয়েছেন।
ব্যক্তিগত জীবন:
তামিলিসাই সাউন্ডরাজন তার স্বামী সৌন্দররাজনের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। দম্পতির দুই ছেলে এবং একটি মেয়ে রয়েছে। তিনি একজন উত্সাহী পাঠক এবং সঙ্গীতপ্রেমী।
সম্মান এবং স্বীকৃতি:
তাঁর বিশিষ্ট অবদানের জন্য, তামিলিসাই সাউন্ডরাজন বিভিন্ন সম্মান এবং স্বীকৃতি পেয়েছেন। তিনি 2009 সালে তামিলনাড়ু সরকার দ্বারা "মহিলা শক্তি পুরস্কার" এবং 2017 সালে ভারত সরকার দ্বারা "পদ্মশ্রী" উপাধিতে ভূষিত হন।

তামিলিসাই সাউন্ডরাজন একজন সফল রাজনীতিবিদ যিনি তাঁর কাজ এবং দেশী ও রাজ্যের জনগণের প্রতি অঙ্গীকারের জন্য পরিচিত। তিনি দক্ষিণ ভারতের রাজনীতিতে একটি আদর্শ চরিত্র এবং অব্যাহতভাবে নারী নেতৃত্ব এবং ক্ষমতায়নকে অনুপ্রাণিত করছেন।